দুর্নীতির অভিযোগ! দিল্লি থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ
পূর্ত দফতরে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে দিল্লি থেকে গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ।
পূর্ত দফতরে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে দিল্লি থেকে গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশের তরফ থেকে প্রাক্তন মুখ্যসচিব ওয়াই পি সিংকে গ্রেফতারে তৎপরতার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী এবং পূর্ত দফতরের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিকের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যসচিবও দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। ইতিমধ্যেই বাদল চৌধুরী এবং সুনীল ভৌমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ত্রিপুরা পুলিশের পদস্থ এক অফিসার জানিয়েছেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফ থেকে ওয়াই পি সিংকে গ্রেফতারে পর্যাপ্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে ত্রিপুরার পূর্ত দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির দায়িত্ব ছিলেন ওয়াই পি সিং। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা শীঘ্রই ওয়াই পি সিংকে গ্রেফতারের জন্য দিল্লি যাবেন।
ত্রিপুরার ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইতিমধ্যেই প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরী এবং প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে। ১৩ টি প্রোজেক্টে বিপুল পরিমাণ বাড়তি অর্থ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। দুজনেই এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি।
প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী বাদল চৌধুরীকে ১৬ অক্টোবর থেকে খুঁজছিল পুলিশ। গত সোমবার রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর হদিশ মেলে। অন্যদিকে, বাদল চৌধুরীকে গ্রেফতার ব্যর্থতার অভিযোগে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিপ্লব দেবের সরকার নয় পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে। সেই তালিকায় রয়েছেন এক আইপিএম এবং এক ডিএসপিও। পাশাপাশি ছয় সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে বদলি করেও দেওয়া হয়।
রাজ্যের আইন ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, ২০০৮-০৯ সালে পূর্বতন বাম সরকার ১৩ টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পাঁচটি ব্রিজ, পাঁচটি বিল্ডিং, তিনটি রাস্তা। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। ত্রিপুরার ইতিহাসে এটা সব থেকে বড় দুর্নীতি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ সব মিলিয়ে ২২৮ কোটি টাকা সরানো হয়েছে।
যদিও রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পূর্বতন বাম সরকার(১৯৯৩-২০১৮)কে কালিমালিপ্ত করতেই ওই অভিযোগ তোলা হয়েছে।