সায়নীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা! পুরভোটের আগে উত্তপ্ত ত্রিপুরা
পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় তলবে ফরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল ত্রিপুরায়।
পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় তলবে ফরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরা পুলিশ হোটেলে গিয়ে তৃণমূল যুবনেত্রীকে থানায় যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু কোন অভিযোগে তাঁকে থানায় তলব করা হচ্ছে, কোনও নোটিশ দেখাতে পারেনি ত্রিপুরা পুলিশ।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, পুলিশ কোন অভিয়োগে সায়নী ঘোষকে থানায় তলব করেছে, তা জানাতে পারেনি। তবু পুলিশের অনুরোধ মেনে সৌজন্যের খাতিকরে সায়নী থানায় যাবেন। অদ্যাবধি পরেই ত্রিপুরার আগরতলায় মহিলা থানায় যান সায়নী। সঙ্গে যান কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব ও সুবল ভৌমিকও।
আগরতলা মহিলা থানায় পুলিশের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন কুণাল-সায়নীরা। তাঁরা জানতে চান, কেন সায়নীকে তলব করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু কেন, তার কোনও উত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকট হয়ে উঠছে, তার প্রমাণ এই তলব।
তৃণমূল অভিযোগ করছে, সোমবার আগরতলায় কর্মসূচি রয়েছে তাদের। সেই কারণেই তৃণমূল নেতাদের হোটেলে ঢুকে পুলিশ সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে সৌজন্য দেখিয়ে পুলিশ আগরতলা মহিলা থানায় যান সায়নী। সায়নীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে নাকি কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে, তা জানা নেই তৃণমূল নেতৃত্বের।
এরই মধ্যে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভাস্থলের পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিল সায়নী ঘোষের গাড়ি, তখন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সায়নী ঘোষের উদ্দেশে দিদি দিদি করে ডাকতে শুরু করেন। তখন সায়নী বলেন, খেলা হবে। তারপর সায়নীর গাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। গাড়িতে ধাক্কা দিতে শুরু করেন কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনায় সায়নী বিজেপি কর্মীদের উত্তপ্ত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায় সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ, এমনটাই জানা গিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্রে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বকে কিছু জানানো হয়নি। তৃণমূল নেতাদের বাইরে বের করে দিয়ে সায়নীতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাল্টা জানানো হয়েছে, বিজেপি যখন এফআইআর করছে, তখন একরকমভাবে দেখছে পুলিশ। আর তৃণমূল এফআইআর করলে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল নেতাদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে।
তৃণমূল জানিয়েছে, তাঁদের সৌজন্যকে যেন বিজেপি বা ত্রিপুরা পুলিশ-প্রশাসন দপর্বলতা বলে না মনে করে। আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। সেই ভয় থেকেই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার নিদর্শন রাখথে ত্রিপুরা বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এখন থেকেই কাঁপতে শুরু করেছে, যখন বিধানসভা নির্বাচন হবে, তখন তাহলে কী করবে বিজেপি, প্রশ্ন ছুড়ে দেন সায়নী।