ত্রিপুরার চা-কে আলাদা গুরুত্ব! নতুন উদ্যোমে, নতুন জায়গায় চাষের সিদ্ধান্ত
ভারতের মধ্যে থাকা ফেনসিং এবং বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে থাকা জমিতে চা চাষ করা হবে। এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ত্রিপুরা টি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ত্রিপুরায় চা-এর উৎপাদনে গতি আসবে
ভারতের মধ্যে থাকা ফেনসিং এবং বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে থাকা জমিতে চা চাষ করা হবে। এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ত্রিপুরা টি ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ত্রিপুরায় চা-এর উৎপাদনে গতি আসবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টমহল। টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে রাজ্যে চা-উৎপাদনে গতি আসবে। তা ছাড়া জায়গারও সঠিক ব্যবহার করা যাবে।
সীমান্তে চা চাষের উদ্যোগ
ত্রিপুরা
প্রতিবছর
প্রায়
৯০
লক্ষ
কেজি
চা
উৎপাদন
হয়।
ফেনসিং
রয়েছে
সীমান্ত
থেকে
১০০
ইয়ার্ড
ভিতরে।
১৯৭১-এর
ইন্দিরা-মুজিব
চুক্তি
অনুযায়ী
এইভাবে
ফেনসিং
দেওয়ার
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়েছিল।
সূত্রের
খবর
এমনটাই।
বেশ
কিছু
কৃষকের
কৃষি
জমি
রয়েছে
ফেনসিং-এর
অপর
পারে।
আইন
অনুযায়ী,
সেই
জমিতে
সকাল
ছটা
থেকে
বিকেল
৫
টার
মধ্যে
কাজ
করা
যায়।
টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা বলেছেন, প্রকল্পে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। মন্ত্রকের সঙ্গে এবিষয়ে কথাও বলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দ্বিপাক্ষিক
চুক্তি
অনুযায়ী,
আন্তর্জাতিক
সীমান্তে
উঁচু
গাছ
এবং
উদ্যানজাত
উৎপাদন
সম্ভব
নয়।
তবে
সীমান্তে
চা
চাষ
শুরু
করতে
বিশেষ
অনুমতি
নেওয়া
হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
সঙ্গে
বিষয়টি
নিয়ে
কথা
বলা
হবে
বলে
জানিয়েছেন
টিটিডিসির
চেয়ারম্যান
সন্তোষ
সাহা।
ত্রিপুরায় চা চাষের ইতিহাস ১০০ বছরের
তিনি
বলেছেন,
ত্রিপুরার
সব
থেকে
পুরনো
পণ্যের
উৎপাদনে
আগে
বিশেষ
কোনও
গুরুত্ব
দেওয়া
হয়নি।
রাজ্যে
যার
১০০
বছরের
ওপর
ইতিহাস
রয়েছে।
১৯১৬
সালে
উত্তর
ত্রিপুরার
হীরাছেড়ায়
চা
চাষ
শুরু
করা
হয়েছিল।
ত্রিপুরার
বর্তমান
সরকার
চা
শিল্পকে
বিশেষ
গুরুত্ব
দিচ্ছে
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
ত্রিপুরার চা-কে আলাদা গুরুত্ব
ত্রিপুরার চায়ে জন্য আলাদা লোগো করা হচ্ছে। যা টি-বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা বলেন, দেশের এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ত্রিপুরার চা-এর বাজার তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধদল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। ত্রিপুরার চায়ের ওপর থেকে বাণিজ্য শুক্ল কমানোর ব্যাপারের তাঁরা কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে ত্রিপুরায় উৎপাদিত চায়ের বেশিরভাগটাই কলকাতা কিংবা গুয়াহাটির নিলামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ত্রিপুরার চা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে তাঁকে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা।
টিটিডিসি আগরতলাতেই নিলাম কেন্দ্র খোলার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ত্রিপুরা পঞ্চমস্থানে
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ত্রিপুরায় ৫৪ টি এস্টেট রয়েছে। ২১ টি প্রোসেসিং ফ্যাক্টরি রয়েছে। প্রায় ৪০০০ ছোট চা চাষী রয়েছেন। দেশের ১৬ টি চা উৎপাদনকারী রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরার স্থান পঞ্চম।
(প্রতীকী ছবি সৌজন্য: পিক্সঅ্যাবে)