২৬ জানুয়ারি 'স্বাধীনতা দিবসের' শুভেচ্ছো জানিয়ে সমালোচনার মুখে ত্রিপুরার মন্ত্রী
আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি : প্রজাতন্ত্র না স্বাধীনতা দিবস তাতে কিই বা এসে গেল? দুদিনই তো পতাকা উত্তোলন করা হয়, দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয়।
ঠিক এপথেই চিন্তাভাবনাটা ছিল নাকি বেমালুম ভুল বলে গেলেন ত্রিপুরার মন্ত্রী বিজিতা নাথ, তা নিয়ে এখনও ঘোর কাটাতে পারছেন না অনেকেই। ['মাতাল' হয়ে আদালতে হাজির খোদ বিচারক, নজিরবিহীন ঘটনা ত্রিপুরায়]
মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারি, ধর্মনগরের বিবিআই মাঠে পতাকা উত্তোলনের পর জাতির উদ্দেশ্যে 'স্বাধীনতা দিবসের' অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন মন্ত্রী। বললেন, "৬৭ তম স্বাধীনতা দিবসে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ভারতের বীর নায়কদের কথা আজ আমাদের স্মরণ করা উচিত।" [ত্রিপুরায় ৩ কর্মচারী খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সংবাদপত্রের সম্পাদক]
নিজের ভুল ধরতে না পেরে এর পরও বেশ কয়েকবার প্রজাতন্ত্র দিবসের জায়গায় স্বাধীনতা দিবস উল্লেখ করেই বক্তৃতা চালিয়ে গেলে।
মন্ত্রীর এহেন আচরণে হতবাক ত্রিপুরা ইউনিটের কংগ্রেস প্রধান বীরাজিৎ সিনহা। তাঁর কথায়, "বাম সরকারের অন্তত এমন মন্ত্রীদের বেছে নেওয়া উচিত যার অন্তত ভারতীয় সংবিধান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকে। আমার মনে আছে এর আগেও একবার ইনি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন। আমি ওনার সমালোচনা করার জন্যও শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না।" [কন্যাসন্তান, তাই ১০ বছরের মেয়েকে জ্যান্ত মাটিতে পোঁতার চেষ্টা বাবার, গ্রেফতার]
ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র মৃণাল কান্তি দেবও এই ঘটনায় মন্ত্রী বিজিতা নাথের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সরাসরি মন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কোনও মন্ত্রী যদি স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের মধ্যে পার্থক্য না জানেন তাহলে সমাজ কল্যাণ ও সামাজিত শিক্ষা দফতর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী হওয়ার কোনও অধিকার নেই তার। এই সাংঘাতিক ভুলের জন্য প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।