করোনা কেবল শহরের হয়, ত্রিপুরার গ্রামে ঢুকতে বাধা স্বাস্থ্যকর্মীদের, চলছে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ
আজব দাবি। করোনা ভাইরাস নাকি কেবল শহরের লোকেদের হয়। এমনই বিশ্বাসের জেরে গ্রামে ঢুকতে পারছেন না ত্রিপুরার স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের দেখলেই বিক্ষোভ মাথাচারা দিচ্ছে। রাস্তা অবরোধ করছেন গ্রামবাসীরা। যার জেরে সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ত্রিপুরায়।

বাড়ি বাড়ি করোনা পরীক্ষা
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি করোনা পরীক্ষা। গ্রাম শহর নির্বিশেষে এলাকা ভিত্তিতে চলবে এই বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করার কর্মসূচি। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করবেন। এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

বাধা দিচ্ছে গ্রামবাসীরা
রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসীরা। ত্রিপুরার গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন করোনা ভাইরাস কেবল মাত্র শহরেই ছড়ায়। শহরের মানুষদেরই করোনা ভাইরাস হয়। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছুতেই গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছেন না তাঁরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা তো দূরের কথা। পরিস্থিতি এতোটাই জটিল হয়ে গিয়েছে যে পথ অবরোধ শুরু করে দিচ্ছেন তাঁরা।

আদিবাসী গ্রামে প্রবল প্রতিরোধ
ত্রিপুরার একাধিক আদিবাসী গ্রামে ঢুকতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। খোয়াইয়ের জেলা শাসক জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন শহরেই একমাত্র করোনা সংক্রমণ ছড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখলেই তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। বারবার বুঝিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তুইমাধু, মুঞ্জিয়াকামি,জুমবারি, তুলাসিখার গ্রামগুলিতে একেবারেই ঢুকতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।

রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
এদিকে ত্রিপুরায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। তারমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। তারপরেই করোনা নিয়ন্ত্রণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

লাদাখ ইস্যুতে ভারতকে শান্ত করতে নয়া চাল চিনের! সেনা না সরিয়েই প্রত্যাহারের দাবি বেজিংয়ের