রাজ্যে করোনার চিকিৎসা নিম্নমানের! সরকারের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
রাজ্যের করোনার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। আগরতলার হাসপাতালে করোনার রোগীদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠার জেরে শুক্রবার সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট।
রাজ্যের করোনার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। আগরতলার হাসপাতালে করোনার রোগীদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠার জেরে শুক্রবার সুয়ো মোটো মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া গয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে।
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু! চার্জশিট দিল সিআইডি
হাসপাতালে পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে আগরতলার জিবি পন্থ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসায় করুণ পরিস্থিতির কথা বারবার উঠে আসছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। প্রসঙ্গত আগরতলার জিবি পন্থ হাসপাতাল কোভিড কেয়ার সেন্টার হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
হাইকোর্টে শুনানি
শুক্রবার বিষয়টি ওঠে ত্রিপুরা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি অখিল কুরেশি এবং শুভাশিস তলাপাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়। সেখানে বাংলা সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্ট তুলে ধরা হয়।
আদালতের নির্দেশ
আদালতের তরফে জানানো হয়, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত মনে করছে, এব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে তথ্য তলব করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে যাঁরা করোনা পজিটিভ তাঁদের কোন ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তা জানাটা জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে সরকার হলফনামা দিয়ে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামো সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসক, রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে যোগাযেগের অভাবের যে অভিযোগ উঠেছে সেই সম্পর্কে সরকারের করণীয় কী তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরায় করোনা চিকিৎসা
সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় করোনার চিকিৎসায় ২৮৬৫ টি বেড রয়েছে। এর মধ্যে জিবি পন্থ হাসপাতালে রয়েছে ২৪০ টি বেড। ভেন্টিলেটর রয়েছে ১৯ টি। আদালতের পর্যবেক্ষণ জিবি পন্থ হাসপাতালে বেড সংখ্যার থেকে রোগী বেশি রয়েছে।
এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে যাচ্ছেন এবং অনুরোধ করছেন, স্থানীয় করোনা রোগীদের যেন সেখানেই চিকিৎসা করানো হয়। আগরতলায় যেন না পাঠানো হয়।