ত্রিপুরার দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিন্দি! ককবরককে বঞ্চিত করার অভিযোগ বিরোধীদের
জাতীয়তাবাদকে প্রশ্রয় দিতে ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি সরকার রাজ্যে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে ব্যবহার করতে চায়। এই প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেস।
জাতীয়তাবাদকে প্রশ্রয় দিতে ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি সরকার রাজ্যে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে ব্যবহার করতে চায়। এমন কী যেখানে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে এবং যেখানে ককবরক ব্যবহার করা হয়, সেখানে হিন্দিকেই তুলে ধরতে চায় ত্রিপুরা সরকার। সম্প্রতি এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেস।
ত্রিপুরা সরকারের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতীয়তাবাদকে প্রশ্রয় দিতেই এই পদক্ষেপ। আর রাজ্যের বাইরের মানুষদের ত্রিপুরা সম্পর্কে খবর দিতেও এই পদক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করা হয়েছে রাজ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে। এ সম্পর্কে বৈঠক হয়েছিল ৬ এপ্রিল।
সিপিএম-এর তরফ থেকে এই প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তারা বলেছে হিন্দির প্রচার বাড়ানো যেতেই পারে, তবে তা কোনও ভাবেই উপজাতিদের ককবরকের বিনিময়ে নয়।
সিপিএম-এর ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের নেতা রাধাচরণ দেববর্মার কথায়, হিন্দিকে তৃতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে প্রচার করা যেতেই পারে, কিন্তু তার সঙ্গে আঞ্চলিক ভাষাকেও প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির জোট-সঙ্গী উপজাতি সংগঠন আইপিএফটি বলেছে, তারা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত নয়।
সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। জোট সঙ্গী কী ভাবে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করল সেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ডিরেক্টর ইন চার্জ বিষ্ণুপদ দাস বলেছেন, ককবরক খবর চালু থাকবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে নথিভুক্ত ১৩ টি স্থানীয় খবরের চ্যানেলের মধ্যে ৫ টির কম চ্যানেলে ককবরক খবরের জন্য সময় বরাদ্দ করা রয়েছে। বিষ্ণুপদ দাস বলেছেন, স্থানীয় খবরের চ্যানেলগুলিতে খবরের মাধ্যম হিসেবে হিন্দিকে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্য রাজ্যের মানুষ ত্রিপুরা সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে পারেন।
বিজেপির মুখপত্র মৃণালকান্তি দেব এই প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এমন কী বিজেপির উপজাতি শাখার তরফ থেকেও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।