মায়াবতী-অখিলেশের পর সীতারাম! বিজেপির মানি ও মাসল পাওয়ারের কাছে হার, অভিযোগ সিপিএম-এর
ত্রিপুরায় বিজেপির মানি ও মাসল পাওয়ারের কাছে পরাজিত সিপিএম। পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর এমনটাই অভিযোগ করলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির।
ত্রিপুরায় ভোট ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। খুব একটা গণ্ডগোল ছাড়াই ভোট শেষ হয় উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। কিন্তু ভোটের আগের দিন, ভোটের সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সিপিএম ক্ষমতায় থাকলেও, বিজেপি কী ভাবে ভোটের দিন দাপিয়ে বেরাল সেই প্রশ্নও ওঠতে শুরু করে। মান্দাই, টাকারজলা-সহ একাধিক কেন্দ্রে আইপিএফটির দাপিয়ে বেরানোর কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয়রাই। ভোটের আগের দিন রাতেই বহু জায়গায় হুমকির অভিযোগ উঠেছিল। অনেক জায়গাতেই এজেন্টরা বুথে বসতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেছিল সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসও।
শাসকদল হয়েও, এই ধরনের হুমকির মুখে পড়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাহলে সিপিএম কি সংগঠনিক ভাবে বেকায়দায়। বহু সিপিএম এজেন্ট অমরেন্দ্রনগর, রতনপুর-সহ একাধিক জায়গায় আইপিএফটির বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছিলেন। ভোটের আগে ত্রিপুরায় যাওয়া বেশ কিছু ইভিএম সারানোর নামে তাতে পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছিল।
ভোটের ফল বেরোতেই অভিযোগ অনেকাংশেই সঠিক বলে দাবি করতে শুরু করেছে সিপিএম-সহ অন্যদলগুলি।
এর আগে গত বছরে উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের পর সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজপার্টির তরফে বিজেপির বিরুদ্ধে মানি ও মাসল পাওয়ার ব্যবহারের অভিযোগ করেছিল। অভিযোগ উঠেছিল ইভিএম নিয়েও। অন্যদিকে, মনিপুর, গোয়ার মতো রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠদল না হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও হইচই হয়।
২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার সময়ে বিজেপির স্লোগান ছিল কংগ্রেস মুক্ত ভারত। এখন ত্রিপুরাকে ধরলে ২০ টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন বিজেপি। বিজেপি সভাপতির ইঙ্গিত, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও ক্ষমতায় আসবে বিজেপি কিংবা তাদের সহযোগীরা।
বিরোধীদের অভিযোগ, টার্গেট পরিপূর্ণ করতেই মানি ও মাসল পাওয়ার ব্যবহার করছে বিজেপি।