দলের বিধায়ককেই জমি মাফিয়া বলে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর, পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেতার
দলের বিধায়ককেই জমি মাফিয়া বলে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর, পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেতার
দলের বিধায়ককে জমি মাফিয়া (Land Mafia) বলে আক্রমণ ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি (BJP) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Deb)। অভিযুক্ত বিধায়ক আশিস কুমার সাহাকে জেলে পোরার হুমকি দিয়েছেন মুথ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় ত্রিপুরায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এক্ষেত্রে রাজনীতিকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জমি দখলের মতো অবৈধ কাজকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, অভিযুক্তকে তদন্তের মুখোমুখি হতেই হবে, কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারবে না। এব্যাপারে আইন আইনের পথেই চলবে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
পাল্টা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ বিধায়কের
এদিকে,
মুখ্যমন্ত্রীর
অবস্থানে,
তাঁকে
চ্যালেঞ্জ
করেছেন
অভিযুক্ত
বিজেপি
বিধায়ক
আশিস
কুমার
সাহা।
তিনি
বলেছেন,
মুখ্যমন্ত্রী
আগে
অভিযোগের
প্রমাণ
করুন
এবং
যদি
পারেন
তো
ব্যবস্থা
নিন।
মুখ্যমন্ত্রীর
মন্তব্যের
একদিন
আগে
আগরতলা
মিউনিসিপ্যাল
কর্পোরেশন
উজ্জয়ন্ত
প্যালেসের
সামনে
থাকা
একটি
অফিসের
কিছু
অংশ
ভেঙে
দেয়।
এই
অফিসটি
গত
৩০
বছর
ধরে
বাম-বিরোধী
সরকারি
কর্মীদের
ইউনিয়নে
অফিস
বলেই
পরিচিত।
যার
নেতৃত্বে
বিজেপি
বিধায়ক
আশিস
কুমার
সাহা।
আগরতলার মেয়রের নিশানায় ২ নেতা
এব্যাপারে
আগরতলার
মেয়র
দীপক
মজুমদার
অভিযোগ
করেছেন,
বিধায়ক
আশিস
কুমার
সাহা
এবং
তৃণমূলের
রাজ্য
নেতা
সুবল
ভৌমিক
শহরের
উপকণ্ঠে
প্রায়
৭
হাজার
বর্গ
ফুট
সরকারি
দমি
দখল
করেন
গত
শতাব্দীর
৯০
দশকের
শুরুর
দিকে।
সেই
জায়গা
তাঁরা
ব্যক্তিগত
কাজে
ব্যবহার
করেন
বলেও
সংবাদ
মাধ্যমের
কাছে
অভিযোগ
করেছেন
আগরতলার
মেয়র।
আগে
তা
কংগ্রেসের
অফিস
হিসেবে
ব্যবহার
করা
হলেও
পরে
তা
তৃণমূলের
অফিস
হিসেবে
ব্যবহার
করা
হত।
আর
২০১৮
সালে
আশিসকুমার
সাহা
বিজেপির
বিধায়ক
নির্বাচিত
হওয়ার
পরে
তাকে
কর্মী
ইউনিয়নের
অফিসের
রূপ
দেওয়া
হয়।
আগরতলার
মেয়র
বলেছেন,
বাম
আমলে,
আগরতলার
আগেকার
পুরবোর্ডগুলি
বিভিন্ন
সময়
জমি
দখলমুক্ত
করতে
ব্যর্থ
হয়েছে।
কিন্তু
তিনি
দায়িত্ব
নেওয়ার
পরে
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়েছে,
ওই
জমির
দখল
নেওয়া
হবে।
শুধু
ওই
জমির
দখল
নেওয়াই
নয়,
কোনও
রাজনৈতিক
রং
না
দেখে
সব
জমি
দখল
মুক্ত
করা
হবে।
পাশাপাশি
ফুটপাতও
দখল
মুক্ত
করা
হবে।
সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে
আগরতলার
মেয়রের
মন্তব্যে
কড়া
প্রতিক্রিয়া
জানিয়েছেন
বিজেপি
বিধায়ক
এবং
তৃণমূলের
নেতা
সুবল
ভৌমিক।
জমিটিকে
ব্যক্তিগত
জমি
বলে
দাবি
করে,
তারা
বলেছেন,
সেই
কারণে
বাম
সরকার
অনেক
চেষ্টা
করেও
কিছুই
করতে
পারেনি।
পাশাপাশি
আশিসকুমার
সাহা
বিধায়কের
প্রতি
সরকারের
আচরণ
নিয়ে
প্রশ্ন
তুলেছেন।
বিষয়টিকে
রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
বলে
অভিযোগ
করে
তিনি
হাইকোর্টে
মামলার
হুঁশিয়ারি
দিয়েছেন।
অন্যদিকে
কর্মী
সংগঠন
এমপ্লয়িজ
ফেডারেশনের
সাধারণ
সম্পাদক
সমর
রায়
এই
ঘটনায়
ক্ষোভঙ
প্রকাশ
করেছেন।
তিনি
বলেছেন,
শুরু
থেকেই
তারা
বামেদের
বিরুদ্ধে
লড়াই
করছেন।
গত
বিধানসভা
নির্বাচনে
কর্মী
সংগঠন
বিজেপিকে
সমর্থন
জানিয়েছিল
বলেও
দাবি
করেছেন
তিনি।
এখনও
তারা
সরকারের
সমর্থক
বলেও
জানিয়েছেন।
জমি
নিয়ে
মেয়র
যে
দাবি
করছেন,
তাকেও
অবৈধ
বলে
বর্ণনা
করেছেন
তিনি।