সরকারি জমি দখল করে ধর্মীয় কাঠামো! কড়া বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যে
সরকারি জমি দখল করে থাকা সব ধর্মীয় কাঠামো উচ্ছেদের পক্ষে ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি সরকার।
সরকারি জমি দখল করে থাকা সব ধর্মীয় কাঠামো উচ্ছেদের পক্ষে ত্রিপুরার বিজেপি-আইপিএফটি সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যব্যাপী এই কাজ করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পশ্চিম ত্রিপুরার অতিরিক্ত জেলাশাসক তপনকুমার দাস বলেছেন, ২০০৯-এ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি জমিতে অনুমোদিত ধর্মীয় কাঠামো উচ্ছেদ করতে। ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল সেই আদেশ কার্যকর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি শীঘ্রই শুনানি শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। সব জেলার জেলাশাসককে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে অঅনুমোদিত ধর্মীয় কাঠামো ভেঙে ফেলতে বর্তমান উদ্যোগের সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। যা করা হচ্ছে সবই সুপ্রিম কোর্টের আদেশে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই অতিরিক্ত জেলাশাসক।
সোনামুড়ার মহকুমা শাসক সাজু ওয়াহিদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি তারা এই ধরনের ১৫ থেকে ১৬ টি কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন।
এই মহকুমা শাসক আরও জানিয়েছেন, অঅনুমোদিত ধর্মীয় কাঠামোগুলিকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। ৩০ বছরের বেশি পুরনো এবং ৩০ বছরের কম পুরনো। সিপাহীজলা জেলায় সোনামুড়া মহকুমায় এই ধরনের ১৮৪ টি কাঠামো চিহ্নিত করা হয়েছে। ধর্মীয় সংস্থাগুলিকে এনিয়ে নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে ২০ টি মন্দির, ২৬ টি মসজিদ এবং ২ টি চার্চ।
যদিও বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন সিপিএম বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ১২ টি মসজিদকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হলেও, মন্দিরগুলিকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। মন্দিরগুলিকে শুধুমাত্র মৌখিকভাবে বলা হয়েছে সেগুলিকে স্থানান্তরিত করতে।
বিজেপি মুখপত্র অশোক সিনহা সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। তাঁর দাবি পদক্ষেপের মাধ্য ত্রিপুরা সরকার তাদের সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।
অর্থ দফতরের অতিরিক্ত সচিব এলটি ডার্লং বলেছেন, তারা শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কার্যকর করছেন। ১৯ ডিসেম্বর রাজ্য সরকার হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে হলফনামা দাখিল করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।