ত্রিপুরায় বাম-'পথ' অনুসরণ করতে চায় বিজেপি
গরিব মানুষ তাদের সঙ্গেই আছেন। এই কথা প্রমাণ করতে জয়ী বিধায়কদের মধ্যে থেকে বুর্ব মোহন জমাতিয়া, সান্ত্বনা চাকমাদের সামনে এগিয়ে দিতে চায় ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি।
গরিব মানুষ তাদের সঙ্গেই আছেন। এই কথা প্রমাণ করতে জয়ী বিধায়কদের মধ্যে থেকে বুর্ব মোহন জমাতিয়া, সান্ত্বনা চাকমাদের সামনে এগিয়ে দিতে চায় ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি। সরকারে এলেও বামেদের বিপক্ষে নিজেদের তুলে ধরতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ত্রিপুরায় বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর।
নব নির্বাচিত গরিব বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন করবুক কেন্দ্রের বিধায়ক বুর্ব মোহন জমাতিয়া। পেশায় ঝুমচাষী বুর্বের নিজের বাড়ি নেই। প্রায় একই রকম অবস্থা পেচারথলের সান্ত্বনা চাকমারও।
এখনও প্রাক্তন না হওয়া ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের জীবনযাপনের কথা বারবার সামনে এসেছে। আপাতত দলের রাজ্য দফতরেই থাকবেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মানিক সরকারই নন, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য মানিক দে, ভানুলাল সাহা, সাহিদ চৌধুরী, রতন ভৌমিক, অঘোর দেববর্মা, নরেশ জমাতিয়ারা থাকতেন আগরতলা সরকারি আবাসে। দল পরাজিত হওয়ার পর তাঁরা এবার কোথায় থাকবেন, তা নিয়েই চিন্তায় পড়েছে ত্রিপুরা সিপিএম। কেননা এক দিকে যেমন ক্ষমতা হারিয়েছে সিপিএম, ঠিক তেমনই রাজ্য জুড়ে বহু জায়গাতেই পার্টি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে, কিংবা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিদায়ী মন্ত্রীদের একরকম গ্রামের বাড়িতেই ফিরে যেতে হবে। অনেকের গ্রামে বাড়ি নেই। অনেক জায়গায় বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফলে চিন্তায় ত্রিপুরা সিপিএম নেতৃত্ব।
ত্রিপুরার বাম তথা সিপিএম নেতাদের অবস্থার কথা ভাল করেই জানেন বিজেপির নেতারা। ফলে দলের বৈভব থাকলেও সেবিষয়টা সামনে আনতে চান না তাঁরা। তাঁরা দেখাতে চান, সিপিএম-এর গরিব নেতাদের মতো তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও গরিব। ফলে নব নির্বাচিত গরিব বিধায়কদের এগিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর।