করোনার কিট সংগ্রহে ত্রিপুরায় ব্যাপক অনিয়ম, নিজের সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
করোনার কিট সংগ্রহে ত্রিপুরায় ব্যাপক অনিয়ম, নিজের সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক
নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই সরকারি টাকা অপব্যবহারের অভিযোগে সরব ত্রিপুরার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, করোনার কিট সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি চিঠিও লিখেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন অনেক আধিকারিক
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে লেখা চিঠিতে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন অভিযোগ করেছেন, স্বাস্থ্য দফতরের বেশ কয়েকজন আধিকারিকের সাহায্যে কয়েকজন ব্যবসায়ী বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিচ্ছেন।
বেশি টাকায় কেনা হচ্ছে স্যানিটাইজার
২১ মার্চ ভারত সরকারের গেজেট নোটিফিকেশনে বলা হয়েছিল, ২০০ এমএল স্যানিটাইজারের সর্বোচ্চ মূল্য হবে ১০০ টাকা। সেরকমই ৫০০ এমএল-এর সর্বোচ্চ মূল্য হবে ২৫০ টাকা। কেন্দ্রের দেওয়া গাইডলাইন জারির ২০ দিন পরেও তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রমাণ দিয়ে তিনি দেখানোর চেষ্টা করেছেন ৫০০ এমএল-ের স্যানিটাইজার বিক্রি করা হচ্ছে ৩২০ টাকার সঙ্গে জিএসটি। অর্থাৎ তার মূল্য গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৫৯ টাকা। প্রত্যেক বোতন স্যানিটাইজারের জন্য রাজ্যকে বাড়তি ১০৯ টাকা দিতে হচ্ছে।
জাতীয় সংকটের মুহুর্তে ৫ হাজার বোতল স্যানিটাইজারের জন্য সরকারকে বাড়তি ৫.৪৫ লক্ষ টাকা বেশি দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বেড়ে গিয়েছে কিটের দামও
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন এনএইচএম-এর মিশন ডিরেক্টর রিয়েল টাইম কিট কেনার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আগে যে কিট ১১৫০ টাকা করে কেনা হয়েছিল সেই কিট কী করে ২৯১২ টাকায় কেনা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন।
ফলে কিট পিছু অতিরিক্ত ১৭৬২ টাকা হিসেবে ১৯২০ টি কিটের জন্য বাড়তি দিতে হয়েছে ৩৩,৮৩,০৪০ টাকা। বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ প্রথমবার দেশের এক নামকরা কম্পানিকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ত্রিপুরার এক কম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যাদের ট্রেড লাইসেন্স ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গিয়েছে।
করোনা মুক্ত চিনের উহান প্রদেশ, চিকিত্সার পর ছাড়া পেলেন শেষ করোনা আক্রান্ত রোগীও