ত্রিপুরায় 'খেলা শেষ'! ২৬.৪০% ভোট পাওয়ার পরেও ২২ বছর আগে প্রত্যাখ্যাত, তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির
ত্রিপুরায় পুর ও নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে Municipal and Nagar Panchayat Election) তৃণমূলের (Trinamool Congress) ফল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০২
ত্রিপুরায় পুর ও নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে Municipal and Nagar Panchayat Election) তৃণমূলের (Trinamool Congress) ফল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০২৩-এর ভোটে তারাই বিজেপির প্রতিপক্ষ বলে দাবি করেছিলেন। যার জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের বিজেপি (BJP) মন্ত্রী রতনলাল নাথ (Ratanlal Nath) রাজ্যে ভোটের ফলে তৃণমূলের ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
পুর ও নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ফল
ত্রিপুরায় সদ্য হয়ে যাওয়া পুর ও নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনে ৩৩৪ টি আসনের মধ্যে ১ টি আসন পেয়েছে। ২০ টি পরিষদের মধ্যে আগরতলা-সহ মাত্র তিনটিতে লড়াই করেছিল তারা। সেখানে আগরতলায় ৫১ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা ২৬ টি আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে আমবাসা ও তেলিয়ামুড়ায় তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৫৯ টি আসনে। শতাংশের নিরিখে তৃণমূল ভোট পেয়েছে ১৬.৭৭%। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তারা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামেদের প্রাপ্ত ভোট ১৯.৪৭%।
৩ মাসের সংগঠনে যথেষ্ট ভাল ফল, দাবি তৃণমূলের
ফল প্রকাশের পরে ত্রিপুরায় সংগঠনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন তিনমাসের সংগঠনে তার ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধী দল। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের ধ্বংসের অভিযোগ করে বলেছিলেন ২০২৩-এ রাজ্যের মানুষ জবাব দেবেন। পাশাপাশি বলেছিলেন, সবে তো শুরু এবার আসল খেলা হবে।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ
রাজ্যের মন্ত্রী রতনলাল নাথ তৃণমূলের দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি টুইটে বলেছেন, যে সব বহিরাগত ত্রিপুরায় এসে বলছেন ৩ মাসে তারা ২০% ভোট পেয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ২২ বছর আগে তৃণমূল ত্রিপুরায় ২৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এব্যাপারে তিনি ১৯৯৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ত্রিপুর পশ্চিম কেন্দ্রের ফলাফলের কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে সিপিএম প্রার্থী সময় চৌধুরী ৫৬.৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে আসনে জয়ী হয়েছিলে। আর তৃণমূলের সুধীররঞ্জন মজুমদার ২৬.৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেছেন, এরপরে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসা দূরের কথা প্রার্থী খুঁজে পায়নি।
ত্রিপুরায় তৃণমূল সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি
২০১৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া ৬ কংগ্রেস বিধায়ক প্রথমে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। পরে তারাই ২০১৭ সালে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ত্রিপুরায় বিজেপির বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। অন্যদিকে এি রতনলাল নাথও ২০১৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। পরে তিনি মোহনপুর থেকে জয়ী হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কি ডেল্টার থেকে ভয়ানক, সত্যি কি ভ্যাকসিন কাজ করবে না? কী বলছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা