বিধানসভায় জিতলে কি মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেই বা কী হবে, কী বলছেন ত্রিপুরা BJP-র সভাপতি
এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে বলে দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতির। রাজ্যে উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ত্রিপুরায় বিজেপি ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। উপজাতিদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ এবং রাজ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের জন্যই বিজেপি জয়ী হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছে
ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, রাজ্যের মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছেন। রাজ্যে ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘনিয়ে বিজেপি ২০১৮-তে ক্ষমতায় আসে। তখন বিজেপির স্লোগান ছিল উন্নয়ন। বিজেপি রাজ্যে সব ধরনের মানুষের কাছে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এবার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরায় এখন রাজধানী-শতাব্দীর মতো ট্রেন আসছে। বিজেপির শাসনে জাতীয় সড়ক একটি থেকে বেড়ে হয়েছে ছটি। বিমানবন্দরটি হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের।
প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন
পাঁচ
বছরের
শাসনের
একেবারের
শেষের
দিকে
এসে
মুখ্যমন্ত্রী
পরিবর্তন
করাটা
কি
বিজেপির
ব্যর্থতা
নয়,
এই
প্রশ্নের
উত্তরে
ত্রিপুরায়
বিজেপির
সভাপতি
বলেছেন,
২০১৬
সালে
বিজেপির
রাজ্য
সভাপতি
করা
হয়েছিল
বিপ্লব
দেবকে।
তিনি
রাজ্যের
প্রতিটি
অংশে
পৌঁছে
গিয়েছিলেন।
তারপরেই
সরকার
পরিবর্তন
হয়।
তাঁকে
মুখ্যমন্ত্রী
করা
হয়।
তিন্তু
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্বে
অন্য
কোনও
ভাবনার
কারণেই
মুখ্যমন্ত্রী
পরিবর্তন
করেছে।
মানিক
সাহাকে
মুখ্যমন্ত্রী
করে
বিপ্লব
দেবকে
রাজ্যসভায়
পাঠানো
হয়
এবং
তাঁকে
হরিয়ানার
দায়িত্ব
দেওয়া
হয়।
বিপ্লব
দেবের
প্রশংসা
করতে
গিয়ে
তিনি
বলেছেন,
উপজাতি
এলাকার
মানুষের
জন্য
তিনি
কাজ
করেছেন।
কোভিড
মোকাবিলায়
রাজ্যের
কোনও
পরিকাঠামো
ছিল
না,
যা
তিনি
করেছেন।
উত্তর-পূর্বে
ত্রিপুরাই
প্রথম
ভ্যাকসিন
পেয়েছে।
বিপ্লব
দেবই
হোন
কিংবা
মানিক
সাহা
সবাই
মানুষের
পছন্দের
বলে
দাবি
করেছেন
তিনি।
তবে
এবারের
বিধানসভা
নির্বাচনে
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
প্রতিমা
ভৌমিককেও
প্রার্থী
করা
হয়েছে।
তাহলে
কি
জিতলে
ফের
মুখ্যমন্ত্রী
পরিবর্তন।
এব্যাপারে
তিনি
বলেছেন,
জেতার
পরে
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্ব
মুখ্যমন্ত্রীর
ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত
নেবে।
তবে
বিজেপিই
ফের
নিরঙ্কুশ
গরিষ্ঠতা
পাবে
বলে
দাবি
করেছেন
তিনি।
কেন তিপ্রা মোথার সঙ্গে জোট হল না
রাজ্যের
বাম
শাসনে
উন্নয়ন
হয়নি
বলে
অভিযোগ
করেছেন
ত্রিপুরা
বিজেপির
প্রধান।
এছাড়াও
ওই
সময়
জাতীয়
দলও
রাজ্যের
জন্য
কিছু
করেনি।
বিজেপি
রাজ্যের
ক্ষমতায়
আসার
পরে
উপজাতিদের
জন্য
উন্নয়নের
কাজ
শুরু
করে।
সেখানে
এখন
অনেক
কাজ
হচ্ছে।
উন্নয়নে
উপজাতি
এলাকাকে
অগ্রাধিকার
দেওয়া
হয়েছে।
বিজেপি
উপজাতি
এলাকায়
উন্নয়ন
চায়।
তবে
কোনওভাবেই
তিপ্রাল্যান্ডের
পক্ষে
তারা
নয়।
তিনি
আরও
বলেছেন
প্রদ্যোৎ
মানিক্য
দেববর্মার
সঙ্গে
একটা
বৈঠক
হয়েছিল।
তাঁকে
বৃহত্তর
তিপ্রাল্যান্ডের
দাবি
ছাড়তে
বলা
হয়েছিল।
এছাড়াও
লিখিতভাবে
কিছু
দেওয়া
হবে
না
বলেও
জানিয়ে
দেওয়া
হয়েছিল।
সেই
কারণেই
তিপ্রা
মোথার
সঙ্গে
কোনও
জোট
হয়নি।
প্রসঙ্গ বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা
রাজ্যে
বাম
কংগ্রেসের
আসন
সমঝোতা
বিজেপির
কাছে
কতটা
চ্যালেঞ্জের
এই
প্রশ্নের
উত্তর
তিনি
হেলায়
উড়িয়ে
দিয়েছেন।
বলেছেন
মানিক
সরকার
কংগ্রেসের
সঙ্গে
আসন
ভাগাভাগি
পছন্দ
করেননি।
রাজ্যের
বর্ষীয়ান
সিপিআইএম
নেতারাও
এজিনিস
পছন্দ
করেননি।
সংগঠন
দুর্বল
হওয়ার
কারণেই
সিপিএমকে
কংগ্রেসের
সঙ্গে
আসন
সমঝোতা
করতে
হয়েছে
বলে
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
ত্রিপুরা
বিজেপির
সভাপতি
কটাক্ষ
করে
বলেছেন,
কংগ্রেস
দুর্বল।
তারা
নির্বাচনে
দাঁড়ানোর
মতো
প্রার্থী
খুঁজে
পাচ্ছে
না।
ত্রিপুরায়
তৃণমূলের
লড়াইকে
কটাক্ষ
করে
তিনি
বলেছেন,
বাংলা
আগে
নেতাজি-রবীন্দ্রনাথের
জন্য
পরিচিত
ছিল।
কিন্তু
এখন
দুর্নীতিতে
শীর্ষে।
দলের
শীর্ষ
নেতারা
জেলে।
তাঁদের
বাড়ি
থেকে
বিপুল
অর্থ
উদ্ধার
করা
হয়েছে।
তাদের
উচিত
বাংলা
মনোনিবেশ
করে
তারপরেই
ত্রিপুরায়
আসা।
হাং অ্যাসেম্বলি হলে
হাং অ্যাসেম্বলি হলে বিজেপির অবস্থান কী হবে, এব্যাপারে ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বলেছেন ফলাফলের পরেই এব্যাপারে মন্তব্য করা যাবে। তিনি বলেছেন কেন্দ্রে এনডিএ সরকার চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের দাবি না ছাড়লে তিপ্রা মোথার সঙ্গে কোনও কথা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভোট ঘোষণার পরে সোমবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
Tripura Elections 2023: ত্রিপুরায় তৃণমূলের 'বাংলা মডেল'! ইস্তেহারে লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ ১০ অঙ্গীকার