মোদীর 'অচ্ছে দিন' নিয়ে 'এপ্রিল ফুল ডে' মিম শেয়ার করল তৃণমূল
মোদীর 'অচ্ছে দিন' নিয়ে 'এপ্রিল ফুল ডে' মিম শেয়ার করল তৃণমূল
ক্যালেন্ডার বলছে, আজ পয়লা এপ্রিল। বিশ্বজুড়ে মানুষ একে অপরকে বোকা বানিয়ে মজা করেন এই দিনটিতে। নিছক মজার জন্যই এই উদযাপন হলেও এপ্রিল ফুলস ডে-তে এবার তরজায় দুই রাজনৈতিক দল। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম বানিয়ে বিজেপির 'অচ্ছে দিন'কে কটাক্ষ করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস৷
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে 'অচ্ছে দিন আনে ওয়ালে হ্যায়' বলে স্লোগান তুলেছিল বিজেপি।সেই সময় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও বহুবার শোনা গিয়েছে এই স্লোগান৷ নির্বাচনে জিতে ২০১৪ তো বটেই, ২০১৯ সালেও ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তবে বিরোধীদের দাবি, আচ্ছে দিন একেবারেই আসেনি। বিগত কিছুদিন ধরে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করেছে এই প্রসঙ্গে।
এবার এই ইস্যুতে শুক্রবার মিম পোস্ট করল তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল। সদ্য সমাপ্ত অস্কারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ক্রিস রককে অভিনেতা উইল স্মিথের চড় মারার দৃশ্য নিয়ে মিম বানাল তারা। অনুষ্ঠানটিতে উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটের মাথার চুল কম থাকা নিয়ে রসিকতা করেছিলেন সঞ্চালক তথা কৌতুকাভিনেতা ক্রিস রক। তার প্রত্যুত্তরেই ক্রিসকে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন উইল স্মিথ৷ এবার অস্কারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের চরম বিতর্কিত মুহূর্ত স্থান পেল রাজনৈতিক মিমেও। মিমটি পোস্ট করার সময় শাহরুখ খান অভিনীত ওম শান্তি ওম সিনেমার জনপ্রিয় গানের দু-কলিও লিখেছে তৃণমূল। 'ছন সে জো টুটে কোই সপনা, জাগ সুনা সুনা লাগে, জাগ সুনা সুনা লাগে' লিখে মিমটি পোস্ট করেছে তারা।
তবে শুধুই যে মিম বানিয়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করছে তৃণমূল তা নয়। বুধবার কলকাতার রাস্তায় বিরাট মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। গোলপার্ক থেকে রাসবিহারী অবধি সেই মিছিলের মূল দাবিই ছিল, 'জনবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার'৷ প্রায় দু-কিমি রাস্তা পায়ে হেঁটে পেট্রোল, ডিজেল, এলপিজি সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামবৃদ্ধির বিরোধিতা করে রাজ্যের শাসকদল। বহু নেতা, কর্মীদের হাতে ফাঁকা গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল ক্যানও দেখা যায়।
শ্রীলঙ্কার তামিলদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী স্টালিন
২০২৪ যত সামনে আসছে নিজেদেরকে বিজেপির সবচেয়ে বড়ো বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। তাই বিজেপি বিরোধিতার কোনও সুযোগই ছাড়ছে না তৃণমূল। তাই মজার ছলে হলেও বিজেপির অচ্ছে দিনের বিরোধিতায় দেখ গেল তৃণমূলকে।