শুরু হয়েছে ট্রায়াল, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অস্ত্র হতে পারে ভিসিজি ভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়ে নাড়াচারা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, যেসব দেশের নাগরিকদের বিসিজি টিকা দেওয়া রয়েছে, সেইসব দেশের নাগরিকরা করোনা ভাইরাসের বি
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়ে নাড়াচারা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, যেসব দেশের নাগরিকদের বিসিজি টিকা দেওয়া রয়েছে, সেইসব দেশের নাগরিকরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছেন। টিবির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভারতের মতো বেশ কিছু দেশে বিসিজি টিকার প্রচলন রয়েছে। তবে নেদারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে।
শিশুদের দেওয়া হয় বিসিজি ভ্যাকসিন
সাধারণভাবে বিসিজি দেওয়া হয়ে থাকে শিশুদের। ফলে বিসিজি প্রাপ্ত বয়স্ক কিংবা বয়স্কদের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেহেতু ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে, সেই কারণে নির্দিষ্ট দেশগুলিতে কীভাবে মহামারী প্রতিরোধের নীতি নেওয়া হচ্ছে তার ওপরও এর সফলতা নির্ভর করছে।
সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ শতাংশ শিশুর জন্য এই বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শিশুদের মধ্যে মেনিনজাইটিস এবং টিবি প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিন যথেষ্টই কার্যকরী।
বেশ কিছু দেশে করোনার বিরুদ্ধে ট্রায়াল বিসিজির
ভারতে শিশুদের জন্মের পরেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে মূলত টিবি প্রতিরোধের জন্য। এখন সেই ভ্যাকসিন স্বাস্থকর্মীদের দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে। একসপ্তাহ আগে এর ট্রায়াল শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড ও জার্মানিতে।
আপাতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বিসিজি
প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, বিসিজি ভ্যাকসিন টিবি ছাড়াও সার্স সিওভি-২- মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। উপসর্গে প্রাবল্যও কম দেখা যাচ্ছে। ট্রায়ালের ব্যাপারে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে কেননা এখনও কোনও দেশের হাতেই করোনা ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই। এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করে কিছুটা সময় কেনার মতো পরিস্থিতিও তৈরি করা হচ্ছে।
বিসিজি মানুষের চামরায় বেশ কয়েকমাস পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। দীর্ঘ সময় পরেই রক্তের কোষেও এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফলে বয়স্কদের মধ্যেও তা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে বাদ দিতে না পারলেও, ভাইরাসের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখনও সময় লাগবে বেশ কয়েকমাস
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ট্রায়াল থেকে ফলাফল বেরিয়ে আসতে বেশ কয়েকমাস সময় লাগবে। তবে তা একেবারে সামনে থেকে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তা যথেষ্টই কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।