পর্যটনের মরশুমে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি বিমুখ অশান্ত কাশ্মীর থেকে
জঙ্গি হামলায় পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর পর জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকরা ভূস্বর্গের থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন বলে দাবি। আর এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন জম্মু ও কাশ্মীরের ভ্রমণ সংস্থাগুলি।

৩৭০ ধারা প্রত্যাহার
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সংবিধান স্বীকৃত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। এরপর শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভূস্বর্গে ৬৯দিন মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখে প্রশাসন। ফলে শ্রীনগর, গুলমার্গ, পহেলগাঁও, সোনমার্গ, রাজৌরি, পুঞ্চের মতো ভ্রমণ মূলক স্থানগুলিতে বন্ধ থাকে পর্যটকদের আনাগোনা।

ফের স্বাভাবিক ছন্দে ভূস্বর্গ
৬৯ দিনের অচলাবস্থা কাটতেই ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে জম্মু ও কাশ্মীর। শ্রীনগর, গুলমার্গ, পহেলগাঁও, সোনমার্গ, রাজৌরি, পুঞ্চে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এমনকী ২০২০-র মার্চ-এপ্রিলের জন্য হোটেল ও গাড়ির অগ্রিম বুকিং শুরু হয় বলে পর্যটন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

৫ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু
গত ২৯ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে পাঁচ বাঙালি শ্রমিককে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও একজন। ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত উপত্যকা।

পর্যটকদের ভীতি
এই ঘটনা পর্যটকের মনে ফের ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে। ওই হামলার জেরে জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য একের পর এক অগ্রিম বুকিং বাতিল করা হচ্ছে বলে পর্যটন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। তাদের কথায়, প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু পর্যটক ভিড় জমান ভূস্বর্গে। পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলার পর্যটকরা কাশ্মীর বিমুখ হয়ে পড়েছেন বলেই দাবি পর্যটন সংস্থাগুলির।