‘চাক্কা জ্যামের’ হুঁশিয়ারি! কৃষকদের দাবি মানা না হলে ৮ই ডিসেম্বর থেকেই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
দিন যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের তেজ। এদিকে পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকদের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই দিল্লি সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। এমতাবস্থায় এবার কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বুধবারই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস।পাশাপাশি শুক্রবারই কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন করে গোটা রাজধানীতেই 'চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচীর সূচনা করে দিল্লির ট্রান্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনগুলি।

পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে আরও চাপে পড়বে সরকার
এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গাজিয়াবাদ-দিল্লি ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, উত্তরাখণ্ড-দিল্লি ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক, দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানায় রয়েছেন প্রায় ১২ লক্ষ কৃষক। এদিকে এর আগে কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের দু-দফা বৈঠক হলেও বিশেষ কোনও রফা সূত্র এখনও বেরোয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কৃষক আন্দোলনের সংহতিতে দেশজুড়ে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে তাতে সরকারের উপর আরও চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

৮ই ডিসেম্বর থেকেই ‘চাক্কা জ্যামের’ হুঁশিয়ারি
এমতাবস্থায় কৃষকদের দাবি মেনে কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে আগামী ৮ই ডিসেম্বর থেকে উত্তর ভারতেই ‘চাক্কা জ্যামের' হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের সভাপতি কুলতারান সিং আতওয়াল। এমনকী দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচল ও জম্মু-কাশ্মিরে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে।অন্যদিকে দিল্লিগামী ৫টি জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আন্দোলনরত কৃষকরাও।

হু হু করে বাড়ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম
এদিকে দিল্লি সীমন্তের একটা বড় অংশ অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় ইতিমধ্যেই রাজধানীর বুকে পণ্য পরিবহনে বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এমনকী হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে ঢোকার দুইটি রাস্তা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি ঢোকার অন্যতম প্রধান রাস্তাও আংশিক বন্ধ। যার জেরে গোটা দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী সমস্ত রাজ্যতেই হু হু করে বাড়ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম।এমতাবস্থায় ৮ ডিসেম্বর থেকে গোটা দেশে চাক্কা জ্যাম শুরু হলে কী অবস্থা হবে তা ভেবেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

আদৌও কী কৃষকদের কাছে মাথা নত করবে সরকার ?
এদিকে আন্দোলনরত কৃষকদের দাবি-দাওয়া শুনতে নেতাদের এর আগে এক দফায় বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সমস্যা সমাধানে কৃষক প্রতিনিধি সহ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু শুরু থেকেই নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা। অন্যদিকে বৃহঃষ্পতিবারও ফের কৃষকদের সঙ্গে ৭ ঘন্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, পাঞ্জাবের বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রী সোম প্রকাশ এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। কিন্তু সেই বৈঠকও নিস্ফলা হয়। এমতাবস্থায় কৃষকদের হার না মানা মনোভাবের কাছে মাথা নত করতে চলেছে সরকার। বদালাতে চলেছে কৃষি আইন, ইঙ্গিত তেমনটাই।