১৬৭ বছরে প্রথমবারের জন্য জন্মদিনে থমকে রেলের চাকা
১৬৭ বছরে প্রথমবারের জন্য জন্মদিনে থমকে রেলের চাকা
প্রথম দফার লকডাউন শেষ হতে না হতেই দেশে জারি হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। কার্যত গৃহবন্দী গোটা দেশ। থমকেছে রেলের চাকা, বন্ধ রয়েছে উড়ানের ডানাও। এর মধ্যেই, বৃহস্পতিবার ছিল ভারতীয় রেলের ১৬৭ তম জন্মদিন। কিন্তু এই প্রথমবারের জন্য জন্মদিনে চলল না রেল।
১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল প্রথম চলতে শুরু করেছিল ভারতীয় রেল
ঠিক ১৬৭ বছর আগে ১৮৫৩ সালের ১৬ই এপ্রিল, মুম্বই থেকে থানেতে দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা চলতে শুরু করেছিল। ১৪টি ক্যারেজে চারশো জন অতিথি প্রথম যাত্রার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১২ টি বন্দুকের গান স্যালুট দিয়ে যাত্রার সূচনা হয়েছিল বিকেল সাড়ে তিনটের সময়। এ যেন এক আবেগ, নস্টালজিয়া। কিন্তু আজ আর জন্মদিনেও ঘুরলো না রেলের চাকা, বরং গোটা বিশ্বের মতোই করোনা আতঙ্কে থমকে দাঁড়ালো ভারতীয় রেল।
ধুলো জমেছে রেলের গায়ে
এর আগে ভারতীয় রেলকে ঠায় এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে কখনো হয়নি। কিন্তু, এই বছর শুরু থেকেই অনেক কিছু দেখিয়ে আসছে। যার অধিকাংশই ভয়াবহ। আর এখন স্টেশনের আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছেনা রেলের তীব্র হর্ণের শব্দ, সারা শরীরে একগাদা মানুষের ভীড় নিয়ে যেই রেল রোজ চলত, আজ সে থমকে দাঁড়িয়ে একাই। জন্মদিনেও উপায় নেই চলার, ধুলো জমেছে রেলের গায়ে।
পরিযায়ী শ্রমিকরা ভেবেছিলেন ট্রেন চলবে,কিন্তু সে আশায় জল
যখন বিশ্বজুড়ে এই পরিস্থিতি, তখন এরমধ্যেই আইআরসিটিসি বহাল তবিয়াতে ই-টিকিট বিক্রি করে চলেছে। অনেকেই এর জন্য দুষেছে রেলকে। জন্মদিনের দিন রেল চলবে এই আশায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিকরাই ভীড় জমিয়েছিলেন স্টেশনে। অন্যদিকে, রেলের যে কর্তাদের নির্দেশে টিকিট বিক্রি হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে নানা জায়গা থেকে।
করোনা যুদ্ধে কদিনের 'স্থানীয় লকডাউন' প্রয়োজন! গবেষণায় তাক লাগানো তত্ত্ব