
Train Cancelled: ৬৭০ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করল ভারতীয় রেল! কারণ চমকে দেওয়ার মতো
Indian Railway: প্রবল গরমে পুড়ছে গোটা দেশ। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ক্রমশ বাড়ছে উষ্ণতা। আর এভাবে গরম বাড়তে থাকায় ক্রমশ বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। প্রত্যেকদিনই সেই চাহিদা ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়ছে। আর তা বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ও বাড়ছে। যার একটা বড় কারণ কয়লার জোগান।
আর সেদিকে তাকিয়ে আগামী এক মাস পর্যন্ত ৬৭০ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কয়লা ভর্তি মালগাড়ির চলাচলের সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঠেকাতে কয়লার জোগান ঠিক রাখতেই এহেন বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কয়লার জোগানে প্রভাব পড়তেই এহেন সিদ্ধান্ত
একদিকে ভয়ঙ্কর গরম। ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক শহরের তাপমাত্রা। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপপ্রবাহও। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেক সময়ে কয়লার সঠিক জোগান না থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় বাড়ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পৌঁছে দিতে যুদ্ধকালীন অবস্থায় কার্যত ময়দানে নেমেছে ভারতীয় রেল।। আর এই কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রত্যেকদিন ১৬টি মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। কয়লা ভর্তি মালগাড়িকে রাস্তা করে দিতেই এহেন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।

আগামী ১ মাস একাধিক গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত
আগামী ১ মাসের জন্যে একাধিক গাড়ি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ মে পর্যন্ত ৬৭০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০টিরও বেশি ট্রেন দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনও রয়েছে। তবে এই সময়ে কয়লা ভর্তি মালগাড়ি চলাচল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকদিন ৪০০টিরও বেশি এমন মালগাড়ি চালানো হচ্ছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। রেলসূত্রে জানা যাচ্ছে। কয়লার চাহিদা পূরণ করতে প্রত্যেকদিন ৪১৫ টি এমন মালগাড়ি চালানো হবে। প্রত্যেক মালগাড়িতে প্রায় ৩৫০০ টন কয়লা থাকবে।

এই বছর বেড়েছে কয়লার চাহিদা
রেলের এক আধিকারিকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে রেলে প্রত্যেকদিন কয়লা পরিবহণের জন্যে ২৬৯টি মালগাড়ি চালানো হত। যেখানে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে এই সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গত বছর প্রত্যেকদিন এমন ৩৪৭ টি মালগাড়ি চালানো হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রত্যেকদিন ৪০০ থেকে ৪০৫টি পর্যন্ত মালগাড়ি চালানো হয়েছে। রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই বছর ভয়ঙ্কর ভাবে কয়লার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। আর সেই চাহিদা পুরণ করতে পুরদোমে কাজ করছে রেলমন্ত্রক।

মাসখানেক এই অবস্থা বজায় থাকবে
বৃষ্টি বাড়লে ফের ধীরে ধীরে বিদ্যুৎের চাহিদা কমতে শুরু করে! কিন্তু এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও আশা দেখাতে পারেনি হাওয়া অফিস। প্রত্যেকদিনই কার্যত গরমের পরিমান বাড়ছে। আগামী কয়েকমাস এই অবস্থা বজায় থাকবে। এমনটাই আশঙ্কা। আর তা জারি থাকলে মালগাড়ি ছাড়তে আগামীদিনে আরও ট্রেন বাতিল হতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।