রাজ্য জুড়ে ট্রাফিক নজরদারি, কর্নাটক যা পারে আমরা তা পারি না
রাজ্যের একাংশের আইন না মানা গাড়ির তথ্য যাবে অন্য অংশেও। একটি সেন্ট্রাল সার্ভারের মাধ্যমে রাজ্যের এক অংশের ট্রাফিক পুলিশ অন্য অংশের গাড়িগুলির সম্পর্কে তথ্য পাবেন। এমনই ঘটতে চলেছে কর্নাটকে।
রাজ্যের একটি অংশের ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা অন্য অংশের গাড়ির চালকদের বেপরোয়া গতি দেখতে পারবেন। এমনটাই হতে চলেছে কর্নাটকে। ফলে এক অংশের আইন অমান্যকারী গাড়িগুলির তথ্য যাবে রাজ্যের অন্য অংশেও।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু, রণক্ষেত্র ইএম বাইপাসের চিংড়িহাটা]
একটি সেন্ট্রাল সার্ভাস। যার মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে ৩০ টি জেলার ১১৪ টি ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনকে। আইন অমান্যকারী গাড়িগুলির তথ্য এক জায়গায় জমা হবে। ফলে আইন অমান্যকারী গাড়ির তথ্য একটি রাজ্যের মধ্যে সর্বত্রই পাওয়া যাবে। এতদিন পর্যন্ত তথ্য জমা হত জেলা ট্রাফিক পুলিশের সার্ভারে।
বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে সার্ভারটি রাখা হবে। সেটিকে চালাতে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন কর্মী নেওয়া হবে। জানিয়েছেন, ট্রাফিক এবং রোড সেফটির কমিশনার এমএ সালিম।
ট্রাফিক আইন অমান্যকারীর সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত থাকবে এই সেন্ট্রাল সার্ভারেই। পুলিশকর্মীরা প্রয়োজন মতো এর সাহায্য নেবেন। এর ফলে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পরিমাণ বাড়বে। একইসঙ্গে ট্রাফিক আইন অমান্যের পরিমাণ কমবে বলেও আশা সরকারি তরফে।
একইসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে প্রত্যেক জেলায় পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্স ডিভাইস রাখারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এর ফলে, আইনঅমান্যকারীরা কার্ডের মাধ্যমেই তাদের ফি জমা দিতে পারবেন।
পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্স ডিভাইস ছবি তুলতে পারে। এমন কী তাতে ভিডিও-ও রেকর্ডিং-এর বন্দোবস্ত আছে। যার ফলে ট্রাফিক অমান্যের জায়গা ও সময়ও নথিভুক্ত হয়ে যাবে।