For Quick Alerts
For Daily Alerts
২৬ জানুয়ারির সকালে দিল্লির বুকে ট্র্যাক্টর ব়্যালি, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রাত পোহালেই দেশে ঈতিহাসিক ট্র্যাক্টর ব়্যালি। দিল্লিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশি ছাড়পত্র পেয়ে কৃষকরা কৃষি আইন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরোধিতা করে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর ব়্যালিতে নামছেন। একদিকে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ, অন্যদিকে কৃষকদের মিছিল। সবমিলিয়ে এই ইস্যুতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক দেখে নেওয়া যাক।
- গাজিপুর সীমান্ত থেকে যে ট্র্যাক্টর র্যালি বেরোবে তা ৫০ কিমি লম্বা, সিংঘু সীমান্তের র্যালি ১০০ কিমি এবং টিকরি সীমান্তের র্যালি ১২৫ কিমি দীর্ঘ বলে জানা গিয়েছে। মোট ২৫০ কিমি দীর্ঘ হতে চলেছে এই ট্র্যাক্টর র্যালি। ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের জাতীয় জনসংযোগ আধিকারিক ধর্মেন্দ্র মালিক জানান যে দিল্লির সীমান্ত ছাড়াও, গোটা ভারত জুড়ে কৃষকরা তাঁদের নিজ নিজ জেলাতে এই ট্র্যাক্টর র্যালি করবেন।
-
৩৬ টি শর্তে কৃষকরা রাজি হওয়ার পরই এই ব়্যালি নিয়ে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের নো অবজেকশন কৃষযকদের হাতে অসে পৌঁছেছে একাধিক নিয়ম মানার শর্তে। আগামীকাল রাস্তায় ৫০০০ কৃষক, ৫০০০ টি ট্র্যাক্টর নিয়ে বের হচ্ছেন। -
এদিকে, অমিত শাহের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে কৃষকদের এই ব়্যালি নিয়ে কী ধরনের নিরাপত্তা থাকবে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বৈঠকে সচিব রাও হাজির ছিলেন। - এদিকে, মোদীর মায়ের কাছে কয়েকজন কৃষক চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তিনি যেন ছেলেকে কৃষকদের দুঃখ বুঝতে বলেন। এর আগে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার বলেন, দেড় বঠরের জন্য কৃষি আইন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এই মুহূর্তে কৃষকদের জন্য সেরা প্রস্তাব।
- ট্র্যাক্টর র্যালি চলাকালীন সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য কৃষক সংগঠনগুলি বেসরকারি এজেন্সির সুরক্ষা বাহিনী নিয়োগ করেছে। ১৫০ জন থেকে বাড়িয়ে স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী ৫০০ জন করেছে কৃষক বাহিনী। সিসি ক্যামেরাও ৮ থেকে বাড়িয়ে ২০ টি করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের বিভিন্ন পদে মোতায়েন করা হয়েছে। র্যালি চলাকালীন কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিবাদকারী স্থানে একটি যুদ্ধকালীন রুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসক, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সহ ৪০ জনের সদস্য থাকবে প্রত্যেক রুমে।
-
কুচকাওয়াজে ট্রলির প্রবেশ নিষিদ্ধ। ট্র্যাক্টর ও অন্য যান অংশ নিতে পারবে র্যালিতে। বিশেষ টেবিলক্স সহ ট্রলিকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। ২৪ ঘণ্টার রেশন এবং জল কৃষকদের সঙ্গে রাখতে হবে। ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে যথাযথ বন্দোবস্ত কৃষকদেরই করতে হবে। আপনি যদি কোনও ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে থাকেন তবে এটির প্রয়োজন হতে পারে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে যে প্রত্যেক ট্র্যাক্টর বা গাড়িতে কৃষক সংগঠনের পতাকার পাশাপাশি জাতীয় পতাকা থাকবে এবং কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না। কোনও অস্ত্র নিয়ে র্যালিতে আসা যাবে না। এমনকী কোনও লাঠিও নয় এবং উস্কানিমূলক বা নেতিবাচক স্লোগান রয়েছে এমন ব্যানার ব্যবহার করা চলবে না। -
এদিকে, প্যারেডের রুট পূর্ব-নির্ধারিত এবং চিহ্নিত। পুলিশ ও ট্রাফিকের কর্মীরা গাইড করবে। রুট থেকে বিচ্যুত যে কোনও গাড়ি , ট্র্যাক্টর পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে কৃষক নেতাদের নিয়ে গাড়ি চলবে। জানানো হয়েছে, কোনও গাড়ি বা ট্র্যাক্টর সেই গাড়িটিকে ছাড়িয়ে যাবে না। সবুজ জ্যাকেট পরিহিত স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে। -
উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়াররা এই ব়্যালির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। শরদ পাওয়ার এক্ষেত্রে মুম্বই ছেড়ে রাজ্যপালের গোয়া যাওয়াকেও কটাক্ষ করেছেন। যখন কৃকরা তাঁকে মেমোরেন্ডার দিতে যাচ্ছিলেন তখনই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল গোয়া গিয়েছেন বলে খবর।
Comments
English summary
Tractor rally in Republic day , Top developments