রিং রোডে মিলছে না ট্রাক্টর মিছিলের অনুমতি! রফা সূত্র খুঁজতে শুক্রবার ফের কৃষক-পুলিশ বৈঠক
২৬ জানুয়ারি দিল্লির বুকে প্রতিবাদী কৃষকদের ট্রাক্টর মার্চকে ঘিরে দোলচল এখন অব্যাহত। এদিকে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে দিল্লি পুলিসকেই, একথা আগেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে ট্রাক্টর মার্চ নিয়ে বৃহঃষ্পতিবার ফের আন্দোলনরত কৃষক সংগঠগুলির সাথে বৈঠক করে পুলিশ। কিন্তু সেখানেও এখনও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

ঠিক কী কারণে রিং রোডে মিছিল করার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার ?
এদিকে নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে দিল্লির আউটার রিং রোডে ট্র্যাক্টর মিছিল করার অনুমতি দিতে এখনও নারাজ পুলিশ। কিন্তু ওই রাস্তাতেই মার্চের দাবিতে অনড় প্রতিবাদী কৃষকরা। এদিকে পুলিশ বলছে রিং রোডের বদলে দিল্লির বাইরে কুন্ডলি-মানেসর-পালওয়াল হাইওয়ে এবং কুন্ডলি-গাজিয়াবাদ-পালওয়াল হাইওয়েতে ট্র্যাক্টর মিছিল করুক কৃষকরা। কিন্তু তা মানতে চাইছে না কোনও কৃষক সংগঠনই।

পুলিশের প্রস্তাব মানতে নারাজ কৃষক সংগঠনগুলি
এদিকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল রুখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু বুধবার এই মামলার শুনানি কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে কেন্দ্র। উল্টে পুরো দায়ভার দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের উপরেই। কিন্তু এই বিষয়ে পুলিশ-কৃষক দ্বিতীয় দফার বৈঠক নিস্ফলা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় প্রতিবাদী কৃষকরা
অন্যদিকে সরকার এই র্যালির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও র্যালির সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতা দর্শন পাল আজ ফের জোর গলায় জানিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর র্যালি হবেই। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার ফের পুলিশের সাথে বৈঠকে বসতে পারেন কৃষক নেতৃত্ব, খবর এমনটাই।

ট্রাক্টর মার্চ নিয়ে কী বলছেন কৃষক নেতৃত্ব
এদিকে ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল জানিয়েছেন, " সুরক্ষার কারণে দিল্লির আউটার রিং রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর র্যালি করা যাবে না বলে জানিয়েছে সরকার। আমরাও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছি আমরা কেবলমাত্র ওখানেই র্যালি করব।" এমনকী একই সুরে কথা বলতে দেখা গিয়েছে স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেন্দ্র যাদবকেও। তাঁরও স্পষ্ট দাবি, " যে য়াই বলুক, ২৬ জানুয়ারি দিল্লির বুকে শান্তিপূর্ণ ভাবেই হচ্ছে এই ট্রাক্টর মিছিল। কারণ দিল্লির বাইরে এই মিছিল করার কোনও মানেই হয় না।"
ক্ষমতায় এলেই হাজার হাজার মসজিদ ভাঙবে বিজেপি, তৈরি তালিকাও! বিস্ফোরক অভিযোগ অসমের সাংসদের