সিএএ-এনআরসির ভয়ে দলে দলে বাংলাদেশ ফিরছে অনুপ্রবেশকারীরা, লাভের গুড় ঘরে তুলছে সীমান্তের দালালরা!
সিএএ-এনআরসির ভয়ে বাংলাদেশ ফিরছে অনুপ্রবেশকারীরা, লাভ করছে সীমান্তের দালালরা!
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের। ভারতে বহু বছর ধরে বসবাসকারী বৈআইনি অনুপ্রবেশকারীরাও রয়েছে সেই তালিকায়। এবং সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার জন্যে স্থানীয় দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে অনুপ্রবেশকারীরা। আর এই সুযোগে মোটা টাকা পকেটে ভরছে দালালরা।
সিএএ পাশ হতেই বাংলাদেশে ফেরার হিড়িক
সংসদে সিএএ পাশ হতেই এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয় বেশ কয়েক শ্রেণীর লোক। তবে সিএএ-তে কোনও নাগরিকের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উল্লেখিত না থাকলেও এই আন্দোলন জারি থাকে। পরে এর সঙ্গে জুড়ে যায় এনআরসি-এনপিআর বিরোধিতাও। আর এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গে থাকা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা ফিরতে শুরু করেছে বাংলাদেশে।
কী জানাচ্ছে দালালরা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালাল এই বিষয়ে বলেন, 'সিএএ পাসের পরে অনেক লোক আমাদের কাছে বাংলাদেশে ফিরে যাওার জন্যে আসছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিচার করা হবে বলে আশঙ্কা থেকেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছে তারা। তাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি আছে যাদের কয়েক বছর আগেই আমি এদেশে নিয়ে এসেছিলাম।' একই বক্তব্য আরও অনেক দালালদের।
দালারা বেশি টাকা আয় করছে
আগে, এই দালালরা সীমান্ত পার করে ভারতে লোক আনতে ব্যক্তি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নিত। এখন এদেরকেই ফেরত পাঠাতে এখন তারা প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নিচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটি ২৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে দালালরা।
বহু মানুষ আটক হয়েছে
সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার বিষয়ে দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ-এর আইজি ওয়াইবি খুরানিয়া বলেন, 'সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীরা অনেক সংখ্যায় ফিরে যাচ্ছে সেদেশে। মূলত গত এক মাসে এই ফইরে যাওয়ার সংখ্যাটি বেড়েছে। শুধুমাত্র জানুয়ারিতেই আমরা ২৬৮ অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বেশিরভাগই প্রতিবেশী দেশে পালানোর চেষ্টা করছিল।' তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনেক আটক হওয়া ব্যক্তি নাকি আবার ভারতে ৫ থেকে ১২ বছর ধরে থাকছেন। দুই জনের কাছে ভারতীয় পরিচয়পত্রও পাওয়া যায়।
কী বলছে বিজিবি?
বাংলাদেশের তরফে বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল শফিনুল ইসলাম বলেন, 'জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বৈআইনি ভাবে সীমান্ত পার করতে গিয়ে আমাদের হাতে ৪৪৫ বাংলাদেশী আটক হয়েছে।' বাংলাদেশের বিজিবি বনগাঁওয়ের পেট্রাপোল সীমান্তে ৬০ জনকে আটক করেছে। এই বিষয়ে মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিএসএফ -এর আইজি কুলদীপ সাইনি বলেন, 'গত কয়েকদিনে আমরা দেখছি যে অনেক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা সেদেশে ফিরে যাচ্ছে।'
অমিত শাহের জনপ্রিয়তা সিএএ পরবর্তী সময়ে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে! বলছে সমীক্ষা