কালো টাকা ইস্যু:সন্দেহের তালিকায় ৩ লাখ সংস্থা, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি মোদীর
কালো টাকা ইস্যুতে তাঁর সরকার পদক্ষেপ নেওয়াতে রাজনৈতিকভাবে তিনি সমস্যায় পড়তে পারেন জেনেও দেশের স্বার্থে এই পদক্ষেপ দরকার ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কালো টাকা ইস্যুতে তাঁর সরকার পদক্ষেপ নেওয়াতে রাজনৈতিকভাবে তিনি সমস্যায় পড়তে পারেন জেনেও দেশের স্বার্থে এই পদক্ষেপ দরকার ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও কালো টাকা ইস্যুতে তিনি বলেন, যে ৩৭ হাজার 'শেল কম্পানি' সংস্থার নাম পাওয়া গিয়েছে যারা কর ফাঁকি দিয়েছে , তাদের ছেড়ে কথা বলবেনা সরকার। নিজের বক্তব্যে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদি জানান , ৩ লাখ সংস্থাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে সরকার।[আরও পড়ুন:কালো টাকা ইস্যু : সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের টাকা ডিপোজিটের পরিমাণে রেকর্ড পতন]
ইনস্টিটিউট অব চার্টাড অ্যাকাউন্টান্টদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশকে পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতিকেও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যারা দেশকে লুটেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। যারা কালো টাকা লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।[আরও পড়ুন:আপনার রোজগার অনুযায়ী মাসিক খরচের হিসাবে জিএসটি কী প্রভাব ফেলবে, জেনে নিন]
তাঁর এদিনের ভাষণে ফের একবার কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে, নরেন্দ্র মোদী বলেন ২০১৩ সালে কংগ্রেস সরকার থাকা কালীন কালো টাকার পরিমাণ ৪২ শতাংশ বেড়েছিল। সেটা বর্তমানে অনেকটাই কমেছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এবিষয়ে সুইস ব্যাঙ্কের তরপে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয়দের ডিপোজিটের পরিমাণ সুইস ব্যাঙ্কে অনেকটাই কমেছে।
অনুষ্ঠানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মক্কেলদের কর ফাঁকি দিতে সাহায্য না করে তাঁদের করের আওতায় আনার চেষ্টা করা উচিত তাঁদের। তিনি আরও বলেন, ' আপনাদের সই প্রধানমন্ত্রীর সইয়ের চেয়েও শক্তিশালী। সরকারও আপনাদের সই করা অ্যাকাউন্ট ঠিক বলে বিশ্বাস করে। ১,৪০০-রও বেশি অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও, কেন মাত্র ২৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সিএ-রা যদি কারও কাছে কালো টাকা থাকার খবর পান, তাহলে সেই ব্যক্তিদের সতর্ক করে বলা উচিত, তাঁরা রেহাই পাবেন না।'