৩০০০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি মাইসুরুতে, কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি
জুন মাসেও চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রাক বর্ষার বৃষ্টির ছিঁটেফোঁটাও হয়নি গোটা কর্নাটকে। তীব্র জলকষ্টে জেরবার অবস্থা হয়েছিল।
জুন মাসেও চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রাক বর্ষার বৃষ্টির ছিঁটেফোঁটাও হয়নি গোটা কর্নাটকে। তীব্র জলকষ্টে জেরবার অবস্থা হয়েছিল। জুলাই মাসের শেষ থেকে যে পরিমাণ বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে। গত সপ্তাহে কর্নাটকে যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত
কয়েকটি জায়গায় তো বর্ষণ এতোটা হয়েছে যে সেটা স্বাভাবিকের থেকে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি। একটি পরিবেশ সংক্রান্ত পত্রিকায় লেখা হয়েছে এবার নাকি মাইসুরুতে ৩২ গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যেটা প্রায় ৩০০০ শতাংশ বেশি। যার কারণে এই তীব্র বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিতে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা রাজ্যে মোট ৬০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি
কর্নাটকের মতোই মহারাষ্ট্র এবং কেরলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিহারেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তারসঙ্গে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় যেরকম বিহারের ক্ষতি হয়েছে গরমেও ঠিক একই রকম ক্ষতি হয়েছে। তাপপ্রবাহে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পিছনে বিশ্ব উষ্ণায়ন
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন আবহাওয়ার এই চরম অবস্থার জন্য দায়ী বিশ্ব উষ্ণায়ণ। বিজ্ঞান এবং পরিবেশ কেন্দ্রের ডিরেক্টর জেনারেল সুনীতা নারাইন জানিয়েছেন, বর্ষার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করছি আমরা। সেই পরিবর্তন ভয়ঙ্কর। বিশ্ব উষ্ণায়ণই যার অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছেন তিনি।
কী বলছে আইপিসিসি রিপোর্ট
আইপিসিসি-র বিশেষ রিপোর্টেও এই কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পরিবেশের এই পরিবর্তন চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীতে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া হবে। কারণ এই পরিবেশ পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। ফসল নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে জমির উৎপাদন শীলতা কমে যাওয়া সবটাই নির্ভর করছে এই পরিবেশ পরিবর্তনের উপর।
[কর্ণাটকে ভয়াবহ বন্যা, বিপর্যস্ত জনজীবন, দেখুন দুর্দশার জলছবি]