শনিবার রাত থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন বেঙ্গালুরুতে, কি কি মানতে হবে দেখে নিন এক ঝলকে
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে শনিবার রাত আটটা থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হবে ব্রুহত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) সীমানায়। বিবিএমপির কমিশনার অনিল কুমার জানিয়েছেন যে বেঙ্গালুরুতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ওপর বিচার করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার নির্দেশে এই লকডাউন।
সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউন
মাংসের দোকান সহ প্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রি এই লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে। এই লকডাউন চলবে সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। লকডাউনের সিদ্ধান্তটি এই রোগের বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার গৃহীত বহুপক্ষী কৌশলটির একটি অংশ।
কোভিড–১৯ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স
রাজ্যের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্স এই পরিস্থিতিটির কার্যকর পর্যবেক্ষণ এবং নজরদারি করার জন্য বেঙ্গালুরুতে ৮,৮০০ টি কমিটি সহ রাজ্য জুড়ে বুথ-স্তর কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে ৫০ বছরের নীচের রোগীদের ক্ষেত্রে ১৪ থেকে বাড়িয়ে ১৭ দিনের আইসোলেশনের মেয়াদ এবং হোম আইসোলেশন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বুথ পর্যায়ের কমিটি গঠন
শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ বাহিনী, স্থানীয় পৌরসভা বা পঞ্চায়েত এবং স্বেচ্ছাসেবীদের প্রত্যেককে এক করে করে বুথ পর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সংক্রমণ বাড়ছে বেঙ্গালুরুতে
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরু আর হায়দরাবাদ এই দুই শহরে গত কয়েক দিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল ভাবে বাড়ছে। কিছু দিন আগেই কলকাতাকে পেছনে ফেলে দিয়েছিল হায়দরাবাদ। এ বার বেঙ্গালুরুরও পেছনে চলে গেল কলকাতা। উল্লেখ্য, প্রথম দিকে বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্তের খোঁজই পাওয়া যায়নি কার্যত। গোটা দেশের কাছে বেঙ্গালুরু একটা মডেল হয়ে ওঠে। কিছু দিন আগেই শহরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করে। তার পর থেকে আর কোনো লাগামই নেই। প্রায় রোজ ৮০০ থেকে ৯০০ জন করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বেঙ্গালুরুতে।