৪ টি রাজ্যের বন্যা হার মানাচ্ছে কেরলকেও! রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
বিধ্বংসী বন্যার জেরে কেরলে স্বল্প সময়ে ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর ঘটনায় দেশ ও পৃথিবীর অন্য দেশগুলির দৃষ্টি আকর্যণ করলেও, এবছরেই সারাদেশে বন্যায় তার থেকেও অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে চারটি রাজ্যে।
বিধ্বংসী বন্যার জেরে কেরলে স্বল্প সময়ে ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর ঘটনায় দেশ ও পৃথিবীর অন্য দেশগুলির দৃষ্টি আকর্যণ করলেও, এবছরেই সারাদেশে বন্যায় তার থেকেও অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে চারটি রাজ্যে। যেখানে কেরলে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ ছুঁই-ছুঁই, সেখানে অন্য চারটি রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৬০০-র কাছে।
বন্যায় কেরলে সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হলেও, বাকি ৪ রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ২০৪ জন, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৫ জন, কর্ণাটকে ১৬১ জন, অসমে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেরলে ৫৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৪.৫২ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। অসমে ১১.৪৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আর ২.৪৫ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় শিবিরে রাখা হয়েছিল।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী( ২০০৫ সাল পর্যন্ত) প্রতিবছরে বন্যায় দেশে গড়ে ১৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়। শস্য কিংবা সম্পত্তির ক্ষতির হিসেব ধরলে পছরে তা পৌঁছে যায় ৪,৭৪৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। কেননা দেশের ১২ শতাংশ এলাকা বন্যাপ্রবণ।
রাজ্যগুলির দেওয়া তথ্য হিসেব করলে দেখা যায়, ২০১৭-তে বন্যা সংক্রান্ত নানা ঘটনায় প্রায় ১২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরমধ্যে বিহারে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সর্বাধিক, ৫১৪ জন। এরপরেই স্থান পশ্চিমবঙ্গের, ২৬১ জন। অসমে ১৬০ জন, মহারাষ্ট্রে ১২৪ জন, উত্তরপ্রদেশে ১২১ জন। চারটি রাজ্যে ৩.৪ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। ২২.৮১ লক্ষ মানুষকে রাখা হয়েছিল আশ্রয় শিবিরে।
২০১৬ সালেও অবস্থার সেরকম কোনও পরিবর্তন ছিল না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৯৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল যথাক্রমে ২৫৪ জন, ১৮৪ জন, ১৪৫ জন, ১০২ জনের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি দেশের ৬৪০ জেলায় রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বিপর্যয়ের মোকাবিলার মতো ক্ষমতা খুবই কম। এপ্রসঙ্গে উন্নতি দরকার বলেও মন্তব্য করা হয়েছিল।