১২ ক্লাসের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার সংখ্যায় বিহারের নয়া রেকর্ড
বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা একেবারে কড়া হাতে নিল বোর্ড। আর তাতে যে ফল বেরিয়েছে তা হাড় হিম করার মতো। মাত্র ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি পড়ুয়া এবছর বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছে।
গতবছরে বিহারে শীর্ষস্থান দখল করা পড়ুয়া দুর্নীতি সামনে এসেছিল। কীভাবে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে বিহার বোর্ডের পরীক্ষায় যেকেউ চাইলেই মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারে তা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সাড়া দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
আর তার ফল হিসাবেই হয়ত এবছর বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা একেবারে কড়া হাতে নিল বোর্ড। আর তাতে যে ফল বেরিয়েছে তা হাড় হিম করার মতো। মাত্র ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি পড়ুয়া এবছর বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছে। মঙ্গলবার ফলাফল বেরনোর পর এই ঘটনা সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগ পড়ুয়াই অকৃতকার্য হয়েছে। সবমিলিয়ে পাশের হার ৩৫.৯৩ শতাংশ।
এই ঘটনায় বিহার স্কুল এক্সামিনেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান আনন্দ কিশোর বলেছেন, আমরা এবছর ফর্ম ফিলাপ থেকে শুরু করে খাতা দেখা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াই কড়া হাতে সামলেছি। বেশি করে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে কোনও খামতি থাকলে তা ঢেকে দেওয়া যায়। উত্তরপত্রে বার কোড লাগানো হয়েছে। এছাড়া সঠিক উপায়ে পরীক্ষা নিতে নানা উপায় অবলম্বন করা হয়েছে। আর সেজন্যই পাশের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
সবমিলিয়ে এবছর ১২ লক্ষ ৪০ হাজার ১৬৮ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের মধ্যে ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬২২ জন ফেল করেছে। শতাংশের বিচারে ৬৪.০৭ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৩১জন পড়ুয়া পরীক্ষায় বসেছিল। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ৪৯ হাজার ২৮০জন ফেল করেছে। বানিজ্য বিভাগে ৬০ হাজার ২২জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ১৫ হাজার ৪ জন ফেল করেছে। কলা বিভাগে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯১৫ জনের মধ্যে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৩৮ জন অকৃতকার্য হয়েছে।
গত দুই বছরে বিহার বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৫ সালে ৮৯.৩২ শতাংশ ও ২০১৬ সালে ৬৭.০৬ শতাংশ পাশ করেছিল। তবে এবছর তা কমে ৩০.১১ শতাংশ এসে দাঁড়িয়েছে। বানিজ্য বিভাগে ২০১৬ সালে ৮০.৮৭ শতাংশ পাশ করেছিল, এবছর তা ৭৩.৭৬ শতাংশে কমে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কলা বিভাগে গতবছরে ৫৬ শতাংশ পা করেছিল যা এবছর কমে ৩৭.১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।