শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় টপারের 'মেধা' দেখুন, উত্তর শুনলে ভিরমি খাবেন
প্রতারণার দায়ে ২০১৫-র জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারীকে গ্রেফতার করেছে ফিরোজাবাদ পুলিশ প্রশাসন।
প্রতারণার
দায়ে
২০১৫-র
জেলা
প্রাথমিক
শিক্ষক
নিয়োগের
পরীক্ষায়
প্রথম
স্থানাধিকারীকে
গ্রেফতার
করেছে
ফিরোজাবাদ
পুলিশ
প্রশাসন।
চাকরির
জন্য
ভুয়ো
মার্কশিট
জমা
দেওয়ার
অভিযোগ
ছাড়াও
সাধারণ
মানের
প্রশ্নের
উত্তরও
সে
দিতে
পারেনি
বলে
জানা
গিয়েছে।
অভিযুক্ত বছর ২৮-এর ওই যুবকের নাম আশিস কুমার। শিকোহাবাদ থানার ভাণ্ডারিগ্রামের বাসিন্দা সে। যোগ্যতার নিরিখে শিক্ষক নির্বাচনের পরীক্ষায় নাকি সে নির্বাচিত হয়েছিল। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাচেলর অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনের ভুয়ো মার্কশিট সে দাখিল করার। যাতে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮৮%।
২০১৫ সালে জেলার মৌলিক শিক্ষা বিভাগের তরফ থেকে ১২,৪৮০ টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেছিল আশিস কুমার।
নিয়োগে গরমিল নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেন চিফ ডেভেলপমেন্ট অফপিসার নেহা জৈন। দেখা যায় অভিযুক্ত যুবক চাকরি পেতে ভুয়ো মার্কশিট দাখিল করেছে।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার জানিয়েছেন, যোগ্যতা নির্ণয়ক পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়ার আশিস কুমারকে উমেদপুর গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয় ২০১৮-র ৩ মে। তার জমা দেওয়া নথি তখনও কলেজে পাঠানো বাকি ছিল। পরে ভুয়ো কাগজ জমা দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর জেলাশাসক নেহা শর্মা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। তদন্তে দেখা যায় আশিস কুমার কখনও কলেজেই যায়নি।
সিডিও জানিয়েছেন, আসিসের বয়ান অনুযায়ী, সে ফিজিক্যাল এডুকেশনে স্নাতক এবং বেসিক ট্রেনিং-এর সার্টিফিকেট রয়েছে। কিন্তু আগ্রার ডিগ্রি কলেজে তাঁর মার্কশিট পরীক্ষায় দেখা যায়, সেই কলেজে তার সম্পর্কে কোনও রেকর্ডই নেই। এরপর কমিটির সামনে হাজির হয়ে নিজের অবস্থার পরিষ্কার করতে পাঁচটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল আশিককে।
শেষে তাকে যখন পাওয়া যায়, বেশ কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর সে দিতে পারেনি। অভিযুক্ত যুবক জানায় মানব দেহে ২৫৬ টি হাড় রয়েছে। টেট যা টিচার্স এলিজিবিলেটি টেস্ট নামে পরিচিত, তাকে বলে ট্রেনিং এডুকেশন ট্রেনিং। এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণির অঙ্কও সে সমাধান করতে পারেনি।
গ্রামীণের
পুলিশ
সুপার
মহেন্দ্র
কুমার
বলেছেন,
এই
ঘটনা
আঘাত
দিয়েছে
সবাইকে।
সে
আদৌ
সাক্ষর
কিনা
তা
নিয়ে
সন্দেহ
দেখা
দিয়েছে।
ভারতীয়
দণ্ডবিধির
একাধিক
প্রত
রণার
ধারায়
একা
থানায়
অভিযুক্তের
বিরুদ্ধে
মামলা
শুরু
করা
হয়েছে।