জাঠ আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হরিয়ানা, জেলায় জেলায় কার্ফু, সংঘর্ষে মৃত ৩
নয়াদিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারি : সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতোই তাদেরকেও একই সুযোগ দিতে হবে, এই দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন হরিয়ানার জাঠ সম্প্রদায়। তবে শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে ও পুলিশের গুলিতে ৩ জন বিক্ষুব্ধ মারা যান।
গতকাল থেকে চলা বিক্ষোভ আন্দোলনের ঘটনায় জনতা পুলিশ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। এর মধ্যে অনেকেই পুলিশের গুলিতে আক্রান্ত। শুক্রবার রাত থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি সেনা নামানো হয়েছে নানা জেলায়। আপাতত প্রায় ১২টি জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। রোহতক, ভিওয়ানি, বাহাদূরগঞ্জে কার্ফু নেমেছে। এছাড়া মোট ৩৩ কোম্পানি আধাসেনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আনা হয়েছে।
এর পাশাপাশি পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সহ অনেকেই পরিস্থিতি আলাদাভাবে খতিয়ে দেখেছেন।
যে সকল জেলায় কার্ফু নামানো হয়েছে বা যেখানকার পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক, সেসব জায়গা এনএসএ প্রধান অজিত ডোভালের সঙ্গে মিলে খতিয়ে দেখছেন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীহ মেহঋষি। সেনার পাশাপাশি মোতায়েন করা আধাসেনা ও পুলিশ দিয়ে হরিয়ানা জুড়ে জাঠ আন্দোলনের বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে সরকারের।
সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে কোনও সুরাহা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে এসব সত্ত্বেও সবকিছুকে উপেক্ষা করে চলছে আন্দোলন। হরিয়ানা ছাড়িয়ে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে জাঠ আন্দোলনের প্রভাব।