আইন মানুন, নয়ত গ্রেফতার করা হবে শীর্ষ কর্তাদের, টুইটারকে কেন্দ্রের 'আল্টিমেটাম'
কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইটারে অনেকেই ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল। এমন অভিযোগ তুলে টুইটার কর্তৃপক্ষকে ১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র৷ এবার এই প্রেক্ষিতে টুইটারের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কেন্দ্র। একটি নির্দেশিকা দিয়ে কেন্দ্রের তরফে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে, টুইটার কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নির্দিষ্ট করে দেওয়া সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে। ভারতে কর্মরত ব্যবসায়িক সংস্থা হিসাবে টুইটারকে ভারতীয় আইনকে সম্মান করে চলতে হবে। তা না করলে সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের উপর 'কোপ' নেমে আসতে পারে বলে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের।
কেন্দ্রের তরফে ১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ
ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গ, মিয়া খালিফা, রিহানার মতো আন্তর্জাতিক সেলেবরা৷ যাতে ক্ষুব্ধ হয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷ এরপরই কেন্দ্রের তরফে ১ হাজার ১৭৮টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই প্রতিক্রিয়ায় টুইটার জানিয়েছিল, কেন্দ্রের নির্দেশ ভারতীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
পাল্টা প্রস্তাব রাখে টুইটার
মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির তরফে আরও জানানো হয়েছিল, অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি ব্লক করার পরিবর্তে ভারতে কয়েকটি অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যদিও টুইটার ৫০০টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় এবং ভারতে আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সাংবাদিক ও রাজনৈতিকদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে অস্বীকার করে টুইটার
তবে বাক স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে টুইটার সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে অস্বীকার করে। এরপরই গতকাল সন্ধে নাগাদ তথ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, টুইটারকে বলা হয়েছিল ভারতীয় সংবিধান বাকস্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করে না। তবে ১৯(২) ধারা অনুযায়ী, বাকস্বাধীনতারও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।
ভারতের আইনকে সম্মান জানাতে হবে টুইটারকে
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভারতে ব্যবসার জন্য টুইটারকে স্বাগত। কিন্তু, তার জন্য অবশ্যই ভারতের আইন ও গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্মান জানাতে হবে। টুইটার তার নিজস্ব নিয়ম-বিধি ও নির্দেশিকা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে স্বাধীন। তবে, সেক্ষেত্রে তাদেরও ভারতীয় আইন মেনে চলতে হবে।