পদ নিয়ে বিদ্রোহ, আত্মসমর্পণের পথে ছত্তিসগড়-তেলঙ্গানার ত্রাস শীর্ষ মাও নেতা গণপতি
দলের অন্দরেই বাড়ছে অসন্তোষ। পদ নিয়ে বিদ্রোহ মাথা চারা দিচ্ছে মাওবাদীদের অন্দরেই। যার জেরেই আত্মসমর্পণের পথে হাঁটতে চলেছেন ছত্তিশগড় ও তেলঙ্গানার ত্রাস শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণপতি। ২৯ অগাস্ট নিজের ডেরা ছেড়ে গরচিরোলির জঙ্গলের পথে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সেখানেই আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড়ের ত্রাস গণপতি
তেলঙ্গনা আর ছত্তিশগড় তাঁর হাতের তালুর মত। সিপিআই-মাওইস্টের দীর্ঘ সময়ের নেতৃত্বে ছিলেন গণপতি। ২০০৪ সালে অন্ধ্র সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অন্ধ্রের পুলিসকে এক প্রকার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছিলেন গণপতি। অ্যান্টি মাওইস্ট অভিযান চলাকালীনই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্ধ্র সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন গণপতির নেতৃত্বাধীন মাওবািহনী।

পদ নিয়ে অসন্তোষ
এক যুগ সিপিআই মাওইস্টে প্রধানের পদে ছিলেন তিনি। তার দাপটে কাঁপত তেলঙ্গানা ছত্তিশগড়। হাঠাৎ করে গত বছর তাঁকে সরিয়ে প্রধান করা হয় বাসব রাজুকে। বয়সের কারণেই এই পদ বদল বলে মনে করা হয়। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না গণপতি। চাপা অসন্তোষ ফুটে বেরোচ্ছিল। শেষে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন তিনি।

গরচিরোরির পথে গণপতি
জানা গিয়েছেন গত ২৭ থেকে ২৯ অগাস্টের মধ্যে গণপতি নিজের ডেরা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন। দান্তেওয়াড়া নারায়ণপুর সীমানা হয়ে গরচিরোলিতে হাজির হবেন তিনি। সেখানেই আত্মসমর্পণ করতে পারেন গণপতি। দুই রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্ট একই তথ্য দিয়েছে।

করোনা থাবায় আন্দোলনে ভাঁটা
বাস্তারে করোনা ভাইরাস মহামারী ব্যপক প্রভাব ফেলেছে। আর এতেই মাওবাদীদের আন্দোলনে ভাঁটা পড়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন বাস্তারে যেহেতু আধার কার্ড ছাড়া করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না তাই একটু সমস্যায় পড়েছেন মাওবাদীরা। শহরেও যেতে পারছেন না তাঁরা। তাই অনেক মাওবাদী নেতাই এই সময়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নিচ্ছেন।
প্রতীকী ছবি
সপ্তম পে কমিশন অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতনের চাকরি! কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ ভারতীয় রেলে