নিরাপত্তা বাহিনীর বড় সাফল্য! এনকাউন্টারে কাশ্মীরে মৃত্যু ১ শীর্ষ জৈশ কমান্ডার মুন্না ভাইসহ ২ জঙ্গির
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে এক শীর্ষস্থানীয় জৈশ কমান্ডার মুন্না ভাই-এর।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে এক শীর্ষস্থানীয় জৈশ কমান্ডার মুন্না ভাই-এর। রাত থেকে সংঘর্ষের পর শনিবার সকালে মৃত্যুসহ এই জঙ্গির। মুন্না ভাই-এর এক সহযোগীরও মৃত্যু হয়েছে এই সংঘর্ষে। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ
পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদী কাজ করতে মুন্না লাহোরী ওরফে ছোটা বুর্মি কাশ্মীরে ঢুকেছিল গত বছর। দক্ষিণ কাশ্মীরে একাধিক আইইডি হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সে জড়িত বলে অভিযোগ। শুধু এলাকায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণে যুক্ত থাকা নয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের স্থানীয় জঙ্গিদের সমর্থন দেওয়ার কাজটাই এই শীর্ষ জঙ্গি ও তার সহযোগী করত বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে এই দুজন কাজ করত বলে দাবি পুলিশের।
|
শুক্রবার বিকেল থেকে সংঘর্ষ
সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পরেই সোপিয়ানের বান্ডে মহল্লার বোনা বাজার ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার বিকেলে তল্লাশি অভিযান শুরু হতে গুলি চালাতে শুরু করে মুন্না ভাই এবং তার সহযোগী জিনাত উল ইসলাম। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সারারাত ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
প্রায় একবছর পরে সাফল্য
নিরাপত্তা বাহিনীর এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের গুপ্তচর সংস্থাগুলির মাধ্যমে এই দুজন সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল একবছর আগে। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করতে এবং অবস্থান জানতে কেটে গিয়েছে একটা বছর। ১৭ জুন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি টহলদারী দলের ওপম হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায় এর পিছনে রয়েছে জৈশ। এর পরেই হামলার সঙ্গে যুক্তদের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করা হয়।
১৭ জুন পুলওয়ামার আরিহালে ওই ঘটনায় ২ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। এক সাধারণ বাসিন্দা-সহ বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান আহত হয়েছিলেন।