সিএএ প্রতিবাদীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইস্যুতে যোগী সরকারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
গত মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের অভিনব পন্থা নিয়ে আসে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
এবার যোগী সরকারের সেই কৌশলই বড়সড় প্রশ্নের মুখে। এই প্রসঙ্গে দাখিল হওয়া এক পিটিশনের উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে। এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য প্রশাসনের কাছে একটি নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি উচ্চতর কোর্টে এই বিষয়ে পিটিশন দাখিলের মাধ্যমে আর্জি জানান পারওয়েজ আরিফ টিটু নামে এক বর্ষীয়ান আইনজীবী। সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন উত্তরপ্রদেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক হিংসার ঘটনা নিয়েও যে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকে অবহিত করেন তিনি।
পারওয়েজের মতে, উত্তরপ্রদেশ সরকার সঠিকভাবে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণ না করেই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষোভের ভিত্তিতে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পন্থা নিয়েছে, ঠিক যেমন ভাবে বিক্ষোভকারীদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
গত মাসে বিক্ষোভ চলাকালীন যোগী আদিত্যনাথকে বলতে শোনা যায়, "সরকার বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মাধ্যমে প্রতিশোধ নেবে এবং যাদের যাদের চিহ্নিত করা যাবে, তাদের সম্পত্তি নিলাম হবে।" এ বিষয়ে আরিফ টিটু জানিয়েছেন যে যাঁদের যাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়, তারা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অন্তর্গত।
গত মাস থেকেই একাধিক জায়গায় নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য শতাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে যোগী সরকার। এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিলে সিএএ-র প্রতিবাদ করায় যে ৯২৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা হয়তো কোনোমতেই জামিন পাবেন না। পাশাপাশি আইন মোতাবেক কিছু পরিমাণ জরিমানা দিলে তবেই শর্তাধীন জামিন মিলতে পারে বলেও জানিয়েছেন পারওয়েজ আরিফ টিটু।