দাঁতে ব্যথা থেকে ওমিক্রন, মহারাষ্ট্রের ১২ বছরের বালিকা আক্রান্ত নতুন ভ্যারিয়েন্টে
দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়াবহ নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ভারতেও ধীরে ধীরে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করছে। দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই ৩৮টি ওমিক্রন কেসের মধ্যে মহারাষ্ট্রে একাই সর্বোচ্চ ওমিক্রনের সংখ্যা দেখা গিয়েছে, তা হল ১৮টি। রাজ্যের পিম্পরি–চিঞ্চওয়াড় জেলায় এক ১২ বছরের বালিকা, যে নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে ওই বালিকা দাঁতে ব্যথার অভিযোগ করার পরই তাঁর শরীরে ওমিক্রন সনাক্ত হয়। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ হিসাবে দাঁতে ব্যথার লক্ষণ নতুন করে সংযোজন হল বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

দাঁতের ব্যথা উপসর্গ
মেয়েটির পরিবার তাকে দাঁতের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়, যিনি ওই বালিকার আরটি-পিসিআর নেগেটিভ শংসাপত্রের দাবি করেন। এরপর ওই ১২ বছরের মেয়ের আরটি-পিসিআর রিপোর্টে জানা যায় যে সে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত। রাজ্যের জোনাল স্বাস্থ্য আধিকারিক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সনাক্ত করে টেস্ট করানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই মেয়েটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।' রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে মেয়েটিইর পরিবারের সদস্যরাও এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের সকলকেই জিজামাতা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে মোট ১৮টি কেস
নাগপুরে বছর ৪০-এর এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির মধ্যে প্রথম এই উচ্চ সংক্রমণযোগ্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হওয়ার পর মহারাষ্ট্র জুড়ে বর্তমানে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮। জানা গিয়েছে যে গত ৫ ডিসেম্বর নাগপুরের ওই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এ রাজ্যে আসেন। এনআইভি জানিয়েছে যে তাঁর সংক্রমণের হাল্কা উপসর্গ ছিল। তিনি বর্তমানে এইমস নাগপুরে আইসোলেশনে রয়েছেন। এরপর পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় শহর (পুনের কাছে), মুম্বই ও পুনে শহরে ওমিক্রন কেসের সন্ধান পাওয়া যায়।

অন্য দেশ থেকে এসেছে ৭৭ হাজারের ওপর যাত্রী
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুম্বই, পুনে ও নাগপুর বিমানবন্দরে অন্য দেশ থেকে মোট ৭৭,৫৩০ জন যাত্রী এ রাজ্যে এসেছেন। অত্যন্ত ঝুঁকিপ্রবণ দেশ থেকেও এই যাত্রীদের মধ্যে অনেকে এসেছেন এবং তাঁদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

নজরদারি চলছে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ওপর
এই যাত্রীদের মধ্যে ২২ জন যাত্রী অত্যন্ত ঝুঁকিপ্রবণ দেশ থেকে এবং ৮ জন অন্য দেশ থেকে আসার পর আরটি-পিসিআর টেস্টে তাঁদের কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁদের নমুনা পাঠানো হয় জিনোমিক সিকক্যুয়েন্সে। এছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে আসা সমস্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ওপর নজরদারি চলছে। বিমানবন্দর এবং ফিল্ড নজরদারির মাধ্যমে, জিনোমিক সিক্যুয়েন্সিংয়ের জন্য ১০৭টি নমুনা পাঠানো হয়েছে এবং ২৬টির ফলাফল আসা এখনও বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ।
