প্রয়াত অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী, শোকের ছায়া টলিউডে
Array
প্রয়াত বাংলা টেলিভিশন জগতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী। বেশ কিছু দিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। অগাস্ট মাসে একবার গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন। ফিরে এসেছিলেন। কাজ করছিলেন। কিন্তু এবার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আর ফেরা হল না। তাঁর নিজের যেমন একটা পরিচিতি আছে পাশাপাশি আবার তিনি আর এক বিখ্যাত অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রী'ও।
শঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে, সোনালী চক্রবর্তীর পেটে ফ্লুইড জমেছিল। ভুগছিলেন লিভারের সমস্যায়। এতেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। আর সেটাই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কাজ হল না এবার। না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
গতবার যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখন হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল যে তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। তবে এটাও বলা হয়েছিল তিনি কাজ করতে পারবেন না এমনটা নয়। করছিলেনও কাজ, কিন্তু কিছুদিন আগেই হঠাৎ অসুস্থতা। দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং আজ আর বাড়ি ফেরা হল না অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তীর।
সোনালী চক্রবর্তী বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম পরিচিত অভিনেত্রী। সোনালি চক্রবর্তী একটা সময় খুব জনপ্রিয় ছিলেন খলনায়িকা হিসেবে । তিনি 'প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন হারজিত' ছবিতে নায়িকার সৎ মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে 'বন্ধন' ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাঁকে ছোট পর্দায় দেখা যাচ্ছিল সম্প্রতি। সোনালি দেবী ।তবে দীর্ঘদিন পর কামব্যাক করেও আর তাঁকে দেখা যাবে না কোনও চরিত্রেই। অভিনেত্রীর প্রয়াণে অনুরা'গাঁটছড়া' ধারাবাহিকে খড়ির জেঠিমার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত ও মর্মাহত তাঁর সকল সহকর্মী ও পরিবারের সকলেই।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুদিপ্তা চক্রবর্তী। তিনি তাঁর সোশ্যাল মাধ্যমের প্রোফাইলে লিখেছেন, "সোনালী দি...বিদায়। অনেক পুরনো সব স্মৃতি !' নাচনি ' টিভি সিরিয়াল, আমি তখন ক্লাস সিক্সে। প্রথম দেখেছি তোমাকে। অভিনয় করেছি তোমার পাশে দাঁড়িয়ে। কি সুন্দর দেখতে। হাঁ করে দেখতাম। তোমার অত লম্বা চেহারা, টানা টানা চোখ, ছবি আঁকার মত সুন্দর ভ্রু, একগাল হাসি, সুন্দর নাচতেও ,মনে থাকবে তোমাকে। শেষ তোমার ছবি দেখলাম কালীপুজোর দিন বাজি পোড়ানোর.. শঙ্কর দাই পোস্ট করেছিলেন 'social media'এ। না, ওই চেহারা টা মনে রাখতে চাই না। সেই নাচনির সময়কার মুখ টা আর পরবর্তী কালে আরও কত কত বার দেখা মুখটাই মনে রাখতে চাই। অনেক কষ্ট পেয়েছ। শরীর বাধ সাধলে কি বা করার থাকে আমাদের ? শঙ্কর দা আর সাজি অনেক চেষ্টা করেছে জানি। খবর পেতাম। ওদের দুজনকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা নেই। চির শান্তিতে ঘুমাও সোনালী দি'।
জন দরদী প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছে মানুষ, গুজরাতে বদল হচ্ছে ভোট বিতরণী পার হওয়ার পরিকল্পনা