বিদায়ী ভাষণে সহিষ্ণুতা, অহিংসা প্রসঙ্গই উঠে এল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যে
জাতির উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। সহিষ্ণুতা, শিক্ষা ও অহিংসাই গণতন্ত্রের ভিত বলে মন্তব্য প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ।
রাত পোহালেই দেশ পেতে চলেছে নয়া রাষ্ট্রপতিকে। সোমবারই কার্যকাল শেষ হয়ে গেল দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্য়ায়ের। সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণে সংবিধান, সংসদ ও দেশবাসীকেই সবার ওপরে রাখলেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর বিদায়ী ভাষণে উঠে এল সহিষ্ণুতা প্রসঙ্গও।
বিদায়ী ভাষণে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, দেশের আসল উন্নতি তখনই হবে যখন দেশের সবথেকে গরীব মানুষও নিজেকে সমাজের একটা অংশ হিসেবে ভাবতে শুরু করবে। সেটা তথনই সম্ভব হবে যখন দেশে সবার সমান অধিকার ও গণতন্ত্র মজবুত হবে। সেইসঙ্গে জাত-পাত, ধর্ম, লিঙ্গের ভেদাভেদ ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতির বিদায়ী ভাষণে উঠে এসেছে দেশজুড়ে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনাগুলিও। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমরা কোথাও না কোথাও হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছি। এই হিংসার উৎসস্থল হচ্ছে মনের ভেতরে থাকা অন্ধকার, ভয় ও ভুল বোঝাবুঝি। একটা অহিংস সমাজেই একমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারে বলে বিদায়ী ভাষণে বলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিভিন্ন জনসভায় নেতানেত্রীদের ভাষণেও হিংসা বা উস্কানিমূলক বক্তব্য থাকা কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: 'প্রাক্তন' হয়ে কেমন দিন কাটবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের, কত মাইনে পাবেন, কোথায় থাকবেন]
কৃষি ও শিক্ষার ওপরও সমান জোর দিয়েছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, কৃষকদের হাত যেমন আরও মজবুত করতে হবে তেমনই শিক্ষাতে যেন কোনও বাধা না আসে তাও দেখতে হবে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালে তিনি কতটা সফল, তার বিচার সময় করবে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। তবে তাঁর কাছে সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ হল ভারতীয় সংবিধান এবং সংসদই তাঁর কাছে মন্দির বলে জানিয়েছেন প্রণব। মঙ্গলবার থেকে তিনি আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই গণ্য হবেন বলে বিদায়ী ভাষণ শেষ করেছেন তিনি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে।