জাতীয় পতাকার নকশাকার! 'ঝান্ডা ভেঙ্কাইয়া'র ১৪২তম জন্মবার্ষিকী
আজ ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গলি ভেঙ্কাইয়ার ১৪২তম জন্মবার্ষিকী। তিনি প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন বৈচিত্রপূর্ণ ভারতকে এক সুতোয় বাঁধতে দরকার একটি জাতীয় পতাকার।
বিচিত্র দেশ ভারতবর্ষ, প্রদেশ ভেদে নানা ভাষা, নানা মত। এই যাবতীয় বৈচিত্র এক হয়ে যায় জাতীয় পতাকার তলায়। এই সারসত্যটা অনেক আগেই উপলব্ধি করেছিলেন পিঙ্গলি ভেঙ্কাইয়া। তাঁর নকশা থেকেই তৈরি হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। বৃহস্পতিবার, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা জাতীয় পতাকার নকশাকার পিঙ্গলি ভেঙ্কাইয়ার ১৪২তম জন্মদিন।
বর্তমান অন্ধ্রপ্রদেশের মছিলিপতনমের কাছে জন্মেছিলেন ভেঙ্কাইয়া। এই গান্ধীবাদি স্বাধীনতা সংগ্রামী একাধারে ছিলেন ভাষাবিদ, ভূতত্ত্ববিদ আবার একজন লেখকও। ১৯১৩ সালে সম্পূর্ণ জাপানী ভষায় তিনি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তার থেকে তাঁর নাম হয় 'জাপান ভেঙ্কাইয়া'।
তবে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন 'ঝান্ডা ভেঙ্কাইয়া' নামে। ১৯১৬ সালে তিনি একটি বই প্রকাশ করেন জাতীয় পতাকার নকশা সংক্রান্ত। সেখানে বিভিন্ন দেশের পতাকার সঙ্গে স্বাধীন ভারতের পতাকা হিসেবে ৩০ টি নকশা প্রকাশ করেছিলেন 'ঝান্ডা ভেঙ্কাইয়া'। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে জাতীয় কংগ্রেসের বিভিন্ন সভায় তিনি বারবার তুলতেন জাতীয় পতাকার প্রসঙ্গ। শেষে ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধী বিজয়ওয়ারা কংগ্রেসে ভেঙ্কাইয়ার নকশাকে জাতীয় পতাকার মর্যাদা দেন।
গান্ধীর সঙ্গে ভেঙ্কাইয়ার প্রায় অর্ধ শতকের অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক ছিল। তাঁর মহাত্মার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকায়। তরুণ আইনজীবি মহাত্মার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ব্রিটিশ সেনা সদস্য পিঙ্গলি ভেঙ্কাইয়ার। সেই সম্পর্ক দিন দিন গাঢ় হয়েছিল। তাঁর অন্যতম বিখ্যাত বই 'ইয়ং ইন্ডিয়া'-তেও ভেঙ্কাইয়ার জাতীয় পতাকার দাবি প্রসঙ্গ শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন গান্ধী। তিনি লিখেছিলেন, 'ভারতের জাতীয় পতাকার অনুমোদনের জন্য জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনের সময় তাঁর কঠোর সংগ্রাম অত্যন্ত প্রশংসনীয়।'