চিনের রাষ্ট্রদূত বাছাইয়ের প্যাঁচকে টেক্কা দিতে মোদীর ক্ষুরধার পাল্টা চাল! দিল্লি-বেজিং লড়াই তুঙ্গে
সংঘাত শুধু লাদাখের মাটিতে নয়, দিল্লি বনাম বেজিং সংঘাত মস্তিষ্কের যুদ্ধের অপর নাম। দুই দেশের কূটনৈতিক লড়াই পেশীশক্তির থেকেও বেশি প্রভাব ফেলেছে ।
সংঘাত শুধু লাদাখের মাটিতে নয়, দিল্লি বনাম বেজিং সংঘাত মস্তিষ্কের যুদ্ধের অপর নাম। দুই দেশের কূটনৈতিক লড়াই পেশীশক্তির থেকেও বেশি প্রভাব ফেলেছে । এমন অবস্থায় ক্ষমতা দখলে ও বিস্তারবাদের নীতি ধরে রাখতে রীতিমতো চিন নয়া প্যাঁচ শুরু করেছে। যাকে পাল্টা চালে মাত দিয়েছেন মোদী ।
আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত ঘিরে পদক্ষেপ
রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন এখন সংঘর্ষপূর্ণ আফগানিস্তানে ভারতীয় রাষ্ট্রদবত হিসাবে রয়েছেন। যে আফগানিস্তানকে ইকোনমিক করিডোরের দ্বারা চিন নিজের ক্যাম্পে রাখতে চাইছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসাবে সদ্য নিযুক্ত হয়েছেন বিক্রম দোরাইস্বামী। যে বাংলাদেশে চিন ক্রমাগত আর্থিক আস্ফালন বাড়িয়ে বিস্তারবাদ চাইছে।
দুই রাষ্ট্রদূত ও মোদী
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের দুই নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, দিল্লির পিএমও দফতরে মোদীর বিশ্বস্ত ছিলেন বলে খবর। একজন অফিসের সচিব অন্যজন ছিলেন ডিরেক্টর। আর এই দুই বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্বকেই বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ভারত পাঠিয়েছে। মূলত , সাউথ ব্লক সূত্রের যা খবর, তাতে পিএমও দফতরে যাঁদের ভালো কাজের খতিয়ান রয়েছে ও যাঁরা বহু অভিজ্ঞতার অধিকারী তাঁদেরই ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। এর নেপথ্যেও রয়েছে মোদীর সুনিপুণ চাল।
চিনকে মাত দিতে বড় চাল
উল্লেখ্য, চিনকে মাত দিতে মোদী নিজের পাল্টা ঘুঁটি সাজিয়ে যাচ্ছেন। লাদাখ আবহে চিন মূলত সেদেশের যাঁরা কূটনীতিক নন, তাঁদের দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশে পাঠাচ্ছে। এই সমস্ত চৈনিক রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে লালফৌজের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই চিনের সেনার কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিত্বদেরই চিন রাষ্ট্রদূত করে বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছে। নেপথ্যের কারণ বিশ্বস্ততা! যার পাল্টা চাল হিসাবে মোদীও ক্ষুরধার চাল চেলে দিয়েছেন।
লালফৌজের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যক্তিত্বরা রাষ্ট্রদূত!
দেখা যাচ্ছে, লালফৌজের গোয়েন্দাবিভাগের সঙ্গে যুক্ত একাধিক তাবড় ব্যক্তিত্বকে চিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে ইসলামাবাদ ও ঢাকাতে রেখেছে। অন্যদিকে , নেপালে যিনি চৈনিক রাষ্ট্রদূত তিনি চিনের গুপ্তচর বিভাগের সঙ্গে বহুকাল কাজ করেছেন বলে খবর। ফলে বেজিং এর এই কূটনৈতিক চালকে কার্যত ধরে ফেলেছে দিল্ল।
চিনকে ব্লক করতে...
ভারত, চিনের এমন প্যাঁয়তারা দেখেই ,সেই পদক্ষেপকে ব্লক করতে শুরু করেছে। আর সেই জন্যই আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমারের মতো জায়গায় দি্ল্লির প্রভাব যাতে বজায় থাকে, তার জন্য কোনও কসরত ছাড়ছে না মোদীর থিঙ্কট্যাঙ্ক। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত করতে ভারত চিরাচরিত আইএফএস ক্যাডারদের তুলে ধরার চেয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের এপর বেশি জোর দিচ্ছে।
অক্টোবরেও করোনা উদ্বেগ বাড়ছে গোটা দেশেই! এই চার শহরই হয়ে উঠেছে মারণ করোনার নয়া ভরকেন্দ্র