ধর্ষণ রুখতে পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত হোক যোগা, নির্ভয়া দোষীদের ফাঁসির পর প্রতিক্রিয়া রামদেবের
২০১২ সালে ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীর সঙ্গে যে নৃশংসতার সঙ্গে গণধর্ষণ করেছিল ছ’জন অপরাধী সেই ঘটনার সাত বছর পর অবশেষে শাস্তি পেল দোষীরা। মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় কুমার সিং–কে শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার ফাঁসি দেওয়া হয় তিহার জেলে। বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্ট আসামিদের শেষ আবেদনও খারিজ করে দেয়। নির্ভয়ার মা আশা দেবী যিনি গত সাত বছর ধরে অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি জানিয়েছেন যে বিচার পেতে দেরি হলেও অবশেষে বিচার ঠিকই হয়েছে।

ধর্ষণ রুখতে যোগা
এই ফাঁসির পর যোগগুরু রামদেব বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা এই শিকারিদের ফাঁসি দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে। এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং এ ধরনের জঘন্য অপরাধ যারা করবে তাদের মনে ভয় থাকবে। এই মামলাটি বিশ্বে আমাদের দেশের চিত্রকে কলঙ্কিত করেছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ বন্ধ করার জন্য সরকারকে পাঠ্যক্রমে যোগা ও নৈতিক অধ্যয়ন যোগ করা প্রয়োজন। অভিভাবকদেরও তাঁদের সন্তানদের মধ্যে সচেতনতা আনা প্রয়োজন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া সমাজের সব ক্ষেত্রের মানুষের
নির্ভয়ার চার দোষীর ফাঁসির পর অখিল দল নেতা মজিন্দর সিং সিরসা টুইটে জানান, বিচার ব্যবস্থার খবর দিয়ে দিন শুরু হল, নির্ভয়ার মা-বাবার অক্লান্ত সংগ্রামকে স্যালুট জানান তিনি। এর পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও টুইট করে বলেন, ‘বিচার পেতে ৭ বছর সময় লেগে গেল। আজকে আমরা সকলে মিলে এই অঙ্গীকার করি যে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে। আমরা দেখেছি কিভাবে দোষীরা মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত আইন নিয়ে খেলা করে গিয়েছে। আমাদের ব্যবস্থায় অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে এবং আমাদের এই পদ্ধতির উন্নয়ন করতে হবে।' দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসির পর জানান, এটা একটি ঐতিহাসিক দিন। সাত বছর পর নির্ভয়া অবশেষে বিচার পেল, তাঁর আত্মা এবার শান্তি পাবে। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দেশ কড়া বার্তা দিয়েছে যে এ ধরনের অপরাধ করলে ফাঁসিতে ঝুলতে হবে।

তিহার জেলে প্রথম চারজনের একসঙ্গে ফাঁসি
এই প্রথমবার তিহার জেলে চারজনের একসঙ্গে ফাঁসি হল। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড়ো সংশোধনাগার, যেখানে ১৬ হাজার বন্দী থাকে। নির্ভয়ার চার বন্দী বাঁচার জন্য সব ধরনের আইনি পথের সহায়তা নিয়েছিল। এমনকী বৃহস্পতিবারও নির্ভয়ার দোষীরা দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
করোনা সংক্রমণকে হারিয়ে বিশ্বকে অবাক করলেন ১০৩ বছরের বৃদ্ধা!