মোদীর কী মহিমা, লালু-নীতিশেও জল খেল এক ঘাটে
আরজেজি এবং জেডিএই একসঙ্গে প্রচার করবে এখবর ঘোষণার পরও রাজনৈতিক মহল এবিষয়ে নিশ্চিত ছিল না একসঙ্গে লালু ও নীতিশকে প্রচারে দেখা যাবে কি না। কিন্তু সব জল্পনা শেষে সোমবার মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গেল লালু-নীতিশকে।
এদিকে লালু-নীতিশের হাত মেলানো সত্ত্বেও এদিনের জনসভায় সেভাবে জনস্রোত চোখ পড়ল না। ২০০৫ সালে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে নীতিশ নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। এই জোটের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয় লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দল। সেবারও বিজেপি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৪ সালের চিত্রটাও আবার বদলে দিল সেই বিজেপিই। কিন্তু এবার বিজেপিকে আটকাতে হাতে হাত মেলাল দীর্ঘকালীন শত্রু নীতিশ ও লালু।
নীতিশ এবং লালু এদিন হাজিপুর ও মোহাদিনগরে যৌথ প্রচার চালান। আগামী সপ্তাহেও এই যৌথ প্রচার চালানো হবে বলে দুই দলের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী ২১ অগস্ট রাজ্য়ের ১০টি বিধানসভা আসনের জন্য উপনির্বাচন হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই অঙ্ক কষে ফেলেছে আরজেডি, জেডিইউ এবং কংগ্রেস। ত্রয়ী সূত্র অনুযায়ী, লালু ও নীতিশের দল ৪টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কংগ্রেস সেখানে ২ টি আসনে লড়বে।
উপনির্বাচনে ভিত্তি শক্ত করে আসলে আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করতে চাইছে এই দুই দল।