দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা, সতর্ক করতে বিশেষ বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে ফের বাড়ছে করোনার প্রভাব। তাই সতর্ক কেন্দ্র। এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশেষ বৈঠকে বসবেন বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বৃহস্পতিবার দেশে -এর ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি উচ্চ-স্তরের পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। এমনটাই খবর সরকারী সূত্রে।
ভারতে বাড়ছে করোনা
ভারতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দশটি রাজ্য - মহারাষ্ট্র, কেরালা, দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাতে ১০০০-এর বেশি পজেটিভ কেস ধরা পড়েছে।
তথ্য কী বলছে ?
বৃহস্পতিবার
আপডেট
করা
কেন্দ্রীয়
স্বাস্থ্য
মন্ত্রকের
তথ্য
অনুসারে
ভারতে
একদিনে
১৩
হাজার
৩১৩
টি
নতুন
করোনভাইরাস
সংক্রমণের
দেখা
গিয়েছে।
সংক্রমণের
সংখ্যা
সার্বিক
ভাবে
দেশে
৪
কোটি,
৩৩
লক্ষ
,৪৪
হজার,
৯৫৮তে
পৌঁছে
গিয়েছে।
যেখানে
সক্রিয়
কেস
৮৩,৯৯০-
হয়ে
গিয়েছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
গত
সপ্তাহে
অনুষ্ঠিত
'INSACOG'-এর
একটি
পর্যালোচনা
সভায়,
রাজ্য
/
কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চলগুলিকে
সাত
দিনের
মেয়াদে
করোনা
কেসে
বৃদ্ধি
পাওয়া
জেলা
এবং
অঞ্চলগুলি
থেকে
পুরো
জিনোম
সিকোয়েন্সিংয়ের
জন্য
"বড়
সংখ্যক"
নমুনা
জমা
দিতে
বলা
হয়েছিল।
নয়া ভ্যারিয়েন্ট
কোনও নতুন উপ- ভ্যারিয়েন্ট আসছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য এবং সংক্রমণের পিছনে কারণগুলি খুঁজে বের করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছিল বলে সূত্র জানিয়েছে। ভারতীয় সার্স কোভ টু জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন এবং এর সাবলাইনেজ, প্রাথমিকভাবে BA. 2 এবং BA.2.38, এখন পর্যন্ত, কোভিড মামলার বর্তমান বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
BA.2 এবং এর সাবলাইনেজগুলি ৮৫ শতাংশের বিএটু'তে প্রায় ৩৩ শতাংশ নমুনায় পাওয়া যায়। BA.4 এবং BA.5 এর শতাংশ ১০% এরও কম নমুনায় পাওয়া গেছে, তারা বলেছিল।
সার্বিক করোনা চিত্র
কেরালার ১১টি, মিজোরামের ছয়টি এবং মহারাষ্ট্রের পাঁচটি সহ ভারতের ৪৩টি জেলা সাপ্তাহিক কোভিড পজিটিভিটির হার ১০% এর বেশি রিপোর্ট করছে। রাজস্থানের আটটি, দিল্লির পাঁচটি এবং তামিলনাড়ুর চারটি সহ ৪২টি জেলায়, সাপ্তাহিক পজেটিভি রেট ৫ থেকে ১০% এর মধ্যে, সূত্র জানিয়েছে।
একের পর এক নেতা মন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে করোনা আক্রান্ত। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালও করোনা আক্রান্ত। ওদিকে আবার করোনা কাটিয়ে সদ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কাজেই করোনা সংক্রমণ যে ধীরে ধীরে থাবা চওড়া করতে শুরু করেছে দেশে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এক লাফে ২৩০৩ জন বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ০.১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রথম দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ঘটেছিল। তার পর সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫,২৪,৯৪১ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২৩ জুন রয়েছে ২.০৩ শতাংশ।