মহিলার থেকে রাখি পরলে তবেই মিলবে জামিন, হাইকোর্টের এমন অদ্ভুত নির্দেশে হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
মহিলার থেকে রাখি পরলে তবেই মিলবে জামিন
শ্লীলতাহানি কাণ্ডে অভিযুক্তকে রাখি পরাতে অভিযোগকারী মহিলা রাজি হলে তবেই মিলবে জামিন, এমনই শর্ত রেখেছিল মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের এই আদেশের স্থগিতাদেশের জন্য অ্যার্টনি জেনারেলের সহায়তায় চেয়েছিল।
সুপ্রিম
কোর্টের
বেঞ্চের
নেতৃত্বে
থাকা
বিচারপতি
এএম
খানউইলকার
এ
বিষয়ে
অ্যার্টনি
জেনারেল
কে
কে
বেণুগোপালের
দফতরে
বিজ্ঞপ্তি
জারি
করেছেন
একটি
আবেদনের
ভিত্তিতে।
যে
আবেদনটি
ন’টি
মহিলার
আইনজীবী
মিলে
করেছেন,
সেই
আবেদনে
বলা
হয়েছে
যে
সারা
দেশের
আদালত
এই
ধরনের
শর্ত
আরোপ
করা
থেকে
বিরত
থাকতে
হবে
কারণ
এগুলি
আইন
নীতিবিরোধী।
মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট গত ৩০ জুলাই তার আদেশে জানায় যে অভিযুক্ত একটা শর্তেই জামিন পেতে পারে তা হল সে ও তার স্ত্রী অভিযোগকারিনীর বাড়ি গিয়ে অভিযোগকারিনীকে অভিযুক্তের হাতে রাখি পরানোর জন্য অনুরোধ করবে এবং অভিযুক্ত তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সব ধরনের প্রচেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেবে।
আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ ও অর্পণা ভাট বেঞ্চকে জানান যে অসাধারণ পরিস্থিতিতে এই আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি বিআর গভাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চকে পারেখ জানান যে এই জাতীয় শর্ত রাখার জন্য ক্ষুব্ধ অভিযোগকারিণী। এ ধরনের শর্ত আইনের নীতি বিরুদ্ধ। বারবার এ জাতীয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বেঞ্চ আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন যে তিনি কি শুধুই মধ্যপ্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন নাকি পুরো দেশের। এর জবাবে পারেখ জানান যে তিনি গোটা দেশের হয়ে এটা বলতে চান যে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে আদালত, হাইকোর্ট ও বিচার আদালত এ ধরনের শর্ত আরোপ করা থেকে বিরত থাকুক। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে দেশের শীর্ষ আইনের আধিকারিককে এ বিষয় চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী শুনানি তারপরই হবে, যার দিন ধার্য হয়েছে ২ নভেম্বর।