করোনা মোকাবিলায় সরকারির পাশে বেসরকারি হাসপাতালকেও এগিয়ে আসার অনুরোধ
করোনা মোকাবিলায় সরকারির পাশে বেসরকারি হাসপাতালকেও এগিয়ে আসার অনুরোধ
কোভিড–১৯–এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অসামাজিক হয়ে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করছেন দেশের চিকিৎসক–বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ (সন্দেহ বা নিশ্চিত) থেকে বাঁচার জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হল আক্রান্তকে আইসোলেট করে রাখা এবং ওই আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা সকল পুরুষ–মহিলাদের সনাক্ত করে তাঁদেরও পরীক্ষা করা। যাতে কোনওভাবেই এই সংক্রমণ অন্যের দেহে ছড়িয়ে না পড়ে।
সরকারি–বেসরকারি সকলকেই পাশে থাকার অনুরোধ
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও এই সঙ্কটের সময়ে পাশে থাকতে বলা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তির বিষয়ে সরকারি, বেসরকারি, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক, আয়ুশ সকলকে অবহিত করতে হবে। এর পাশাপাশি জেলা নজরদারি ইউনিটকেও জানাতে হবে এ বিষয়ে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুসারে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের স্ব-ঘোষণা করতে হবে যে তাঁরা কোভিড-১৯ প্রভাবিত দেশে গিয়েছিলেন কিনা। এছাড়াও কোভিড-১৯-এর সন্দেহ বা নিশ্চিত কেসের ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে কোনও করোনার কোনও উপসর্গ বা ১৪দিন বিচ্ছিন্ন থাকার কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে, সেরকম হলে ওই ব্যক্তিকে কোভিড-১৯-এর নিয়ম অনুসারে হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে রেখে দেওয়া হবে।
জাতীয় ও রাজ্যের হেল্পলাইনে জানানো
কোভইড-১৯-এর উপসর্গ দেখতে পেলে অবশ্যই রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বর বা জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর ১০৭৫ নম্বরে জানাতে পারেন অথবা [email protected] এই ইমেলেও জানাতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের কোনও ব্যক্তির বিষয়ে জানাতে হলে ৩৩২৩৪১২৬০০ নম্বরে জানাতে পারেন।
কোভিড–১৯ কেসের বর্ণনা
সন্দেহজনক কেস
রোগীর যদি তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, জ্বর বা শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার একটা উপসর্গ (উদাহরণ সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট) এবং কোভিড-১৯ প্রভাবিত দেশে ১৪ দিনের মধ্যে সফর করে আসেন অথবা কোনও রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মীর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা এবং নিশ্চিত করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে শেষ ১৪ দিনের মধ্যে আসে, তবে তাঁর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিতে পারে অথবা কোনও রোগীর যদি একাধিক তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা দেখা দেয় এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। এছাড়াও কোভিড-১৯-এর টেস্ট করানোর পর যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে তবে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলা উচিত।