নাগরিকত্ব পেয়েছেন মুসলিমরাও! সিএএ-এর সমর্থনে নির্মলা সীতারমন টানলেন আদনান সামি আর তসলিমার কথা
গরিকত্ব সংশোধনী আইনকে জোরাল সমর্থন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে জোরাল সমর্থন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের। আর এই সমর্থন করতে গিয়ে তিনি উদাহরণ টানলেন ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া শিল্পী আদনান সামির। এছাড়াও বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমার কথাও বলেছেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নয়, তা বোঝাতেই এই দুই উদাহরণ টেনেছেন তিনি।
আফগান মুসলিমদের নাগরিকত্ব
এদিন নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩৯১ জন আফগানিস্তানের মুসলিম এবং পাকিস্তানের ১৫৯৫ জন শরণার্থী নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
আদনান সামিকে নাগরিকত্ব
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল নাগাদ পাকিস্তানের শিল্পী আদনান সামি ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তসলিমা নাসরিন অপর উদাহরণ বলেও জানিয়েছেন তিনি। এইসব ঘটনাই প্রমাণ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভুল। বলেছেন সীতারমন।
ভারতে আদনান সামি
লাহোরে জন্ম নেওয়া আদনান সামি প্রথমবার ভারতে এসেছিলেন ২০০১-এর ১৩ মার্চ। ভিজিটর্স ভিসা নিয়ে তিনি এসেছিলেন। যার মেয়াদ ছিল একবছর। এরপর তাঁকে পাকিস্তান থেকে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় ২০১০-এর ২৭ মে। যার মেয়াদ ছিল ২০১৫-র ২৬ মে পর্যন্ত। এরপর পাকিস্তানের সরকার তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ আর বাড়ায়নি। এরপরেই আদনান ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানান দেশে থাকার আইনগত অনুমতি চেয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ১ জানুয়ারি তাঁকে ভারতের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ভারতে তসলিমা নাসরিন
বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন দেশ ছাড়েন ১৯৯৪ সালে। ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের জেরে সেদেশের মৌলবাদীরা সেই সময় তাঁকে হত্যা হুমকি দিয়েছিল। রেসিডেন্স পারমিটের ওপর ভিত্তি করে তসলিমা ভারতে রয়েছেন ২০০৪ সাল থেকে।
ভারতে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব
ভারতে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে আরও তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর ২৮৩৮ জন পাকিস্তানি, ৯৪৮ জন আফগানিস্তানি, ১৭২ জন বাংলাদেশি শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ১৯৬৪ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ৪ লক্ষ শ্রীলঙ্কার তামিলকে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের কথাও উল্লেখ করেছেন নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছেন বহু মানুষ। গত ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে রয়েছেন তাঁরা। সেইসব ক্যাম্পে গেলে এইসব মানুষের দুর্দশা সহজেই দেখা যায়।