গুজরাত সফরে একের পর এক মন্দিরে প্রার্থনা, বিজেপি-আরএসএসের মোকাবিলায় পদক্ষেপ, জানাল কংগ্রেস
গুজরাতে তিনদিনের দলীয় প্রচারে গিয়ে চারটি মন্দিরে পুজো দিয়েছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এটি বিজেপি ও আরএসএস-এর কড়া হিন্দুত্ব লাইনের পাল্টা নরম হিন্দুত্বের লাইনের প্রতিফলন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস
গুজরাতে তিনদিনের দলীয় প্রচারে গিয়ে চারটি মন্দিরে পুজো দিয়েছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এটি বিজেপি ও আরএসএস-এর কড়া হিন্দুত্ব লাইনের পাল্টা নরম হিন্দুত্বের লাইনের প্রতিফলন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।
যদিও, রাজ্যে এই মুহুর্তে রাজনৈতিকভাবে চাপে থাকা বিজেপি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দীর্ঘ সময় রাজ্যে নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে কংগ্রেস সহসভাপতি মন্দির ভ্রমণ করছেন বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
সোমবার দ্বারকাধীশ মন্দিরে পুজো দিয়ে গুজরাত সফর শুরু করেছিলেন এবং সুরেন্দ্রনগরের চোতিলা মন্দিরে পুজো দিয়ে বুধবার তার সফর শেষ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। বুধবার সকালে রাজকোট থেকে যাত্রা শুরু করেন রাহুল। চোতিলায় গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে সোজা ১ হাজার সিঁড়ি পেরিয়ে মন্দিরে পৌঁছে যান রাহুল। মাঝে একবারের জন্যও বিশ্রাম নেননি রাহুল। প্রার্থনার পর পুরোহিতরা মন্দিরের ইতিহাস বুঝিয়ে বলেন রাহুল গান্ধীকে। মন্দির থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভক্তদেরও অভ্যর্থনা জানান।
বিকেলে রাহুল গান্ধী গিয়েছিলেন কাখভাদ গ্রামের খোদাল ড্যাম মন্দিরে। প্যাটেল সম্প্রদায়ের দেবী খোদিয়ার মাতার কাছে প্রার্থনা করেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই প্যাটেল সম্প্রদায়ের একটি অংশ বিজেপি সরকারের কাছে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের দাবি করেছে। সেই ক্ষোভ কাজে লাগাতেই প্যাটেল সম্প্রদায়ের দেবীর কাছে রাহুল গান্ধীর এই প্রার্থনা বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ। কাখভাদে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে পাতিদারদের একটি অংশ রাহুলকে অভ্যর্থনা জানায়।
কাখভাদ থেকে জেটপুর যাওয়ার পথে রাহুল গান্ধী দলিত ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য নির্দিষ্ট দাসী জীবন মন্দিরেও যান। যাত্রা পথে হঠাৎই ঢুকে পড়েছিলেন রাজকোটের ভীরপুরের জলরাম মন্দিরেও।
গুজরাত সফরে রাহুলের মন্দিরে মন্দিরে যাওয়াকে রাজনৈতিকভাবে দেখা উচিৎ নয় বলেই দিল্লিতে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এই সফরে অনেক কিছুই ঘটেছে বলে, সেই সব বিষয়ের ওপরেই আলোকপাত করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে গুজরাত কংগ্রেসের মুখপত্রের দাবি, আরএসএস এবং বিজেপি কংগ্রেসকে হিন্দু বিরোধী বলে তকমা লাগানোর চেষ্টা করলেও, কংগ্রেস তা নয়। কড়া হিন্দুত্ব লাইনের মোকাবিলা করতেই কংগ্রেস এই নীতি নিয়েছে।