ত্রিপুরায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল! রাজ্য সভাপতি নেই, তবু জেলা কনভেনরদের নাম ঘোষণা
ত্রিপুরায় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছে তৃণমূল। তাই রাজ্য সভাপতি না থাকলেও জেলা কনভেনরদের নাম ঘোষণা করে দিল তড়িঘ়ড়ি। ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে জেলা স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি করাই নেতৃত্বের লক্ষ্য।
ত্রিপুরায় ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছে তৃণমূল। তাই রাজ্য সভাপতি না থাকলেও জেলা কনভেনরদের নাম ঘোষণা করে দিল তড়িঘ়ড়ি। ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে জেলা স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি করাই নেতৃত্বের লক্ষ্য। সুবল ভৌমিককে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেবই সাজাচ্ছেন সংগঠন।
জেলা কনভেনরদের নাম ঘোষণা তৃণমূলের
সোমবার ত্রিপুরার তৃণমূলের সাংগঠনিক ১২টি জেলার কনভেনরদের নাম ঘোষণা করেন পর্যবেক্ষক সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরায় রয়েছে মোট ৮টি জেলা। সেই ৮টি জেলাকে ১২টি সংগঠনিক জেলায় ভাগ করেছে তৃণমূল। কনভেনরদের ৮-১০ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তারপর জেলায় বিস্তারলাভ করতে ব্লক কমিটি গঠন করবে।
রাজ্য সভাপতি নেই, জেলা কনভেনর নিয়োগ
তৃণমূলের পক্ষে অন্যতম পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা শীঘ্রই জেলা সভাপতি ঘোষণা করব। তারপর ব্লক কমিটি ও অঞ্চল কমিটিও গঠন করা হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য লড়াই করাই আমাদের মূল লক্য্ি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগোচ্ছি। খুব শীঘ্র রাজ্য সভাপতি নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তৃণমূলের কোনও জেলায় কমিটি নেই
এই অবস্থায় প্রশ্ন, এখনও তৃণমূল কোনও জেলায় কমিটি গঠন করতে পারেনি। যেখানে জেলা কমিটি নেই, ব্লক কমিটি নেই, সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে কীসের ভিত্তিতে লড়বে তৃণমূল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। মাত্র চার মাস আগে রাজ্য কমিটি গঠন করেছিল তৃণমূল। তারপর রাজ্য সভাপতিকেই অপসারিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় ত্রিপুরায় তাদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।
তৃণমূলে ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা অপসারিত সভাপতির
তবে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হওয়ার ১০ দিন পরও পরবর্তী পদক্ষেপ নেননি সুবল ভৌমিক। বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই আশঙ্কা করেই তড়িঘড়ি তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চিন্তা ছেড়ে তৃণমূলে ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ত্রিপুরায় বিস্তার লাভের চেষ্টায় ধাক্কা তৃণমূলের
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েও ফের দলে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন সুবল ভৌমিক। ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিস্তার লাভের মুখ ছিলেন সুবল ভৌমিক। কংগ্রেস থেকে যোগ দেওয়া সুবল ভৌমিককে মুখ করেই এবার তৃণমূল ত্রিপুরায় বিস্তার লাভের চেষ্টা করছিল। আর পর্যবেক্ষক হিসেবে তাঁর মাথার উপরে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেব। কিন্তু রাজ্য সভাপতি অপসারিত হওয়ার পর তৃণমূল বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে ত্রিপুরায়।
জেলা কনভেনর নিয়োগ করে কী বার্তা
এখন কে বসবেন সুবল ভৌমিকের চেয়ারে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষ বিশ্বাসকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে রাজ্য সভাপতির ভাবনা প্রকট হয়েছিল। তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এখনও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেবই দায়িত্ব সমালাচ্ছেন। তাঁরাই এখন জেলা কনভেনর নিয়োগ করলেন।
বাংলাকে সংস্কৃতির সেরা পীঠস্থানের স্বীকৃতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের, বিশ্ব-মঞ্চে আমন্ত্রণ মমতাকে