Adani Controversy: সংসদের কাজে বিঘ্ন নয়, বিতর্ক প্রয়োজন! বিরোধীদের মধ্যে বিজেপির 'ভূত' দেখছে তৃণমূল
আদানি ইস্যুতে শুক্রবার সংসদের অধিবেশন পণ্ড হয়েছে। যা তৃণমূলের পছন্দ নয়। তারা বলছে, বিজেপি আলোচনা চায় না। তৃণমূল মনে করছে অনেক বিরোধীও আলোচনা চায় না।
গৌতম আদানি ইস্যুতে ব্যাপক হই-হট্টগোলের জেরে শুক্রবার সংসদের অধিবেশন বারে বারে স্থগিত করতে হয়েছে। সোমবারও সংসদের অধিবেশন পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন, তাঁর দল সংসদে বিতর্ক চায়, বিঘ্ন নয়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এই বিতর্ক থেকে পালানোর চেষ্টা করছে।
তৃণমূলের নিশানায় বিরোধীদের একাংশ
সংসদের হই-হট্টগোলের জেরে অধিবেশন বারে বারে মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে। এটা তৃণমূলের পছন্দ নয়। এব্যাপারে দলের রাজ্যসভার সাংসদ বিরোধীদের একাংশকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা সংসদে কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজস রয়েছে।
|
বিজেপি ভয় পেয়েছে
ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করে বলেছেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তারা সংসদের বিতর্ক থেকে পালানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করাছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে মোদী সরকারকে আক্রমণ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কেননা সেই সময় রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে বিতর্ক হবে। এব্যাপারে নজর রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, কোনও বিরোধী দল যদি বাধা দেয়, তাহলে তারা বিজেপির সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে ধরেই নেওয়া যায়। কেননা তৃণমূল বিঘ্ন নয়, বিতর্ক চায়।
কেলেঙ্কারির অভিযোগ বিরোধীদের
বিরোধীদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু হলেন গৌতম আদানি। তাঁদের বিমানে চড়েই তিনি ২০১৪ সালে ভোট প্রচার করেছিলেন। সেই আদানি গোষ্ঠীই শেয়ারের দাম ফুলিয়ে দেখিয়েছিল এতদিন। কিন্তু মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট পেশের পরেই গ্রুপের শেয়ারে মন্দা দেখা দিয়েছে। ২৪ জানুয়ারির পর থেকে আদানি গ্রুপের সাতটি কোম্পানির শেয়ারেরর দাম সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার পড়ে গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ এটা একটা কেলেঙ্কারি। এই কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলআইসি এবং এসবিআই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু হওয়ার কারণেই আদানি গোষ্ঠীর করা কেলেঙ্কারিতে কোনও রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।
শুক্রবার বারে বারে সংসদের অধিবেশন মুলতুবি
শুক্রবার
সংসদের
উভয়কক্ষের
অধিবেশন
বারে
বারে
মুলতুবি
হয়ে
যায়।
বিরোধী
দলগুলির
তরফে
স্লোগান
দিয়ে
আদানি
গোষ্ঠীকে
নিয়ে
হিন্ডেনবার্গ
রিসার্চের
রিপোর্ট
নিয়ে
সুপ্রিম
কোর্টের
তত্ত্বাবধানে
নিরপেক্ষ
তদন্ত
কিংবা
যৌথ
সংসদীয়
কমিটি
গঠনের
দাবি
করা
হয়।
যার
জেরে
তীব্র
হইহট্টগোল
হয়।
ফলে
লোকসভায়
অধ্যক্ষ
এবং
রাজ্যসভায়
উপরাষ্ট্রপতি
অধিবেশন
সোমবার
পর্যন্ত
মুলতুবি
করে
দেন।
৩১
জানুয়ারি
রাষ্ট্রপতি
দ্রৌপদী
মুর্মুর
ভাষণ
দিয়ে
সংসদের
বাজেট
অধিবেশন
শুরু
হয়।
এরপর
১
ফেব্রুয়ারি
বাজেট
পেশ
করেন
কেন্দ্রীয়
অর্থমন্ত্রী
নির্মলা
সীতারমন।
বাজেট
অধিবেশনের
প্রথম
দফা
শেষ
হবে
১৩
ফেব্রুয়ারি।
আবার
দ্বিতীয়
দফায়
তা
বসবে
১৩
মার্চ।
সেই
অধিবেশনের
সমাপ্তি
হবে
৬
এপ্রিল।
বিজেপির ঘর ভেঙে তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও এক বিধায়ক, অবশেষে দরজা খুললেন অভিষেক