তৃণমূলের সিপিএম-সখ্যে নয়া সমীকরণের জল্পনা, মোদী-বিরোধিতায় একাসনে মমতা-বিজয়ন
রাজ্যে যখন মমতা বিরোধিতাই মূল হাতিয়ার করেছে সিপিএম, তখন সিপিএমেরই এক মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট বেঁধে মোদী বিরোধিতায় সামিল।
রাজ্যে যখন মমতা বিরোধিতাই মূল হাতিয়ার করেছে সিপিএম, তখন সিপিএমেরই এক মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট বেঁধে মোদী বিরোধিতায় সামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যেতেই ফের জাতীয় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বাংলা ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর জোটে আসন্ন লোকসভায় আগে নতুন সূত্র উঁকি দিতে শুরু করেছে।
এর আগে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও তৃণমূল সুপ্রিমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন ফের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমর্থনে মমতার সুরে সুর মিলিয়ে মোদী বিরোধিতায় সামিল হলেন পিনারাই বিজয়ন। তৃণমূল ও সিপিএমের মিলে গেল মোদী বিরোধিতায়।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে শনিবার দেখা করতে গিয়েছিলেন চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন, চন্দ্রবাবু নাইডু ও কুমারস্বামী। কিন্তু কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে চূড়ান্ত হতাশায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। আর এই লড়াইয়ে মোদীর বিরুদ্ধে চারজনেই এক সুরে তোপ দেগেছেন। উপরাজ্যপাল কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেননি। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রত্যেকে।
এই ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্যের যুক্তরাষ্টীয় পরিকাঠামোর প্রত্যাঘাত বলে দাবি তুলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব। হন। আর এই আন্দোলনের সূত্র ধরেই কাছাকাছি আসেন আদর্শগতভাবে পরস্পরবিরোধী দুই দলের মুখ্যমন্ত্রী। এই আন্দোলন মোদীর বিরুদ্ধে জোট রাজনীতিকে আরও শক্ত জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
এদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যখন বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে আসন সমাঝোতার কাজ করে যাচ্ছেন, তখন চার মুখ্যমন্ত্রীর এক যোগে মোদী বিরোধিতা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠে পড়েছে, এটা কি মোদী বিরোধী মহাজোটের বার্তা, নাকি সেই কংগ্রেসকে বাদ রেখে তৃতীয় ফ্রন্টের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ? তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। তবে অচিরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সেই ছবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিল্লি সফরে আর কী কী কর্মসূচি নেন, তা দেখেই বোঝা যাবে প্রকৃত উদ্দেশ্য।